Malda Flood News: ‘সরকারি লোগো লাগানো এত ত্রিপল শ্মশানঘাট দিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল?’
Malda: অন্যদিকে, রতুয়া ১ ব্লকে শুরু হয়েছে গঙ্গার তীব্র ভাঙন। গতরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ। গঙ্গা নদীর জলস্তর কমতেই ফের শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। বাড়ি ঘর ভেঙে, জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাসিন্দারা।

মালদহ: দাঁড়িয়ে আছে একের পর এক টোটো। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো দেওয়া ত্রিপল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে ত্রিপলগুলি বন্যা দুর্গতদের কাছে যাচ্ছে। তবে বিরোধীদের দাবি, এই ত্রিপলগুলি চুরি করছে তৃণমূলের লোকজন। বস্তুত, বন্যা হলেই প্রতিবার একই অভিযোগ উঠে আসে ত্রাণের ত্রিপল, চাল-ডাল চুরি হয়ে যায়। এবারও উঠল সেই একই অভিযোগ উঠল। এবারের ঘটনাস্থল মালদহ। সেখানেই গোপনে লুকিয়ে ত্রাণের ত্রিপল পাচারের অভিযোগ উঠল। বিরোধীদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে তৃণমূল। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে শাসকদল। সবটাই নাটক বলছেন তৃণমূল নেতারা।
সিপিআইএম নেতা দিব্যজ্যোতি মিশ্র বলেন, “দক্ষিণ চণ্ডীপুরের তৃণমূল নেতারা গঙ্গারঘাট দিয়ে মথুরাপুরে ত্রিপল নিয়ে যাচ্ছেন। যদি এই ত্রিপল স্বচ্ছভাবে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে কেন ওরা ব্রিজ দিয়ে যাচ্ছেন না? কেন গোপনে ত্রিপল শ্মশান ঘাট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?” বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “ভূতনীতে ত্রাণের নামে লুঠ হচ্ছে। তৃণমূলের বিধায়ক ত্রাণের জিনিসপত্র দিচ্ছে। আর দলের লোকজন সেই ত্রাণ চুরি করছে।” তৃণমূলের মালদহ জেলার সহ সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “ধারাবাহিকভাবে মানিকচক-রতুয়াকে নিয়ে মিডিয়ার খিল্লি আর রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলির আনন্দ চলছে। তবে বাকিটা সর্বৈব মিথ্য।া পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা একটা ত্রিপল নিয়ে এসে বসে বসে নাটক তৈরি রিল বানিয়ে।“
এদিকে ত্রিপল না পেয়ে চরম হতাশায় বানভাসিরা। দুর্দশায় দিন কাটছে মানিকচকের ভুতনির হিরানন্দপুর, উত্তর চণ্ডীপুর,দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বানভাসিদের। ত্রাণের ত্রিপল পাচার নিয়ে ইতিমধ্যেই মানিকচক ব্লকের বিডিওর কাছে পাচারের ভিডিয়ো পাঠিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, রতুয়া ১ ব্লকে শুরু হয়েছে গঙ্গার তীব্র ভাঙন। গতরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ। গঙ্গা নদীর জলস্তর কমতেই ফের শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। বাড়ি ঘর ভেঙে, জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাসিন্দারা। রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতুটোলা ও মুলিরামটোলায়। অনির্দিষ্টকালের জন্যে ছুটি দেওয়া হয়েছে জিতুটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল বন্ধ করে স্কুলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদ জায়গায় ট্রাক্টরে করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ মাত্র ত্রিশ মিটার দুরেই ছোঁবল মারছে গঙ্গা। যে কোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে এই স্কুল। স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন প্রতিরোধে দাবি ভাঙন কবলিত এলাকার দুর্গতদের। তাদের কোন সহযোগিতা করা হচ্ছে না সরকারি তরফে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে ভিটেমাটি তলিয়ে যাবে নদী গর্ভে।

