AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: মৃত যুবককে জীবিত দেখিয়ে এল এনুমারেশন ফর্ম, জলজ্যান্ত দাদার নাম বাদ

SIR in Bengal: ২০২০ সালে স্বস্তিক ভৌমিক নামে ওই যুবকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। এরপর বাড়ি থেকে বিভিন্ন দফতরে জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড সব বাতিল হয়ে যায় যথারীতি। কিন্তু বারবার জানানো সত্ত্বেও ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যায়নি স্বস্তিকের।

Malda: মৃত যুবককে জীবিত দেখিয়ে এল এনুমারেশন ফর্ম, জলজ্যান্ত দাদার নাম বাদ
উদ্বেগে সৌমিক ভৌমিকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2025 | 8:19 PM
Share

মালদহ: একেই বলে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে। মৃত্যু হয়েছে ছোট ভাইয়ের। আর ভোটার তালিকা থেকে মৃত বলে নাম বাদ গেল দাদার। মৃত ভাইকে জীবিত হিসেবে দেখিয়ে এসেছে এনুমারেশন ফর্ম। অথচ ফর্মই আসেনি জীবিত দাদার নামে। ফলে সরকারি কর্মচারী দাদা পড়েছেন চরম বিপাকে। জীবিত সরকারি কর্মী দাদার ফর্ম না আসায় চিন্তায় পড়েছেন মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের কচু পুকুর ২২৮ নম্বর বুথের ভৌমিক পরিবারের সদস্যরা।

হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চণ্ডী অঞ্চলের কচু পুকুরের ২২৮ নম্বর বুথের বাসিন্দা সৌমিক ভৌমিক। ৩৯ বছর বয়সী সৌমিক কেন্দ্রীয় সংস্থার বিমা দফতরে কর্মরত। বাড়িতে সৌমিক ছাড়াও রয়েছেন তাঁর বাবা, মা ও স্ত্রী। তাঁর আরও এক ভাই ছিল। ২০২০ সালে স্বস্তিক ভৌমিক নামে ওই যুবকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। এরপর বাড়ি থেকে বিভিন্ন দফতরে জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড সব বাতিল হয়ে যায় যথারীতি। কিন্তু বারবার জানানো সত্ত্বেও ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যায়নি স্বস্তিকের।

উল্টে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভোটার লিস্টে জীবিত সৌমিককে মৃত দেখানো হয়েছে। আর মৃত ভাই স্বস্তিককে জীবিত দেখানো হয়। আবার গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত ভোটার লিস্টে দেখা যাচ্ছে দুই ভাই জীবিত। পাশাপাশি যখন ভৌমিক পরিবারের কাছে SIR ফর্ম আসল, তখন দেখা গেল মৃত ছেলের ফর্ম এসেছে। কিন্তু জীবিত ছেলে সৌমিকের ফর্ম নেই। এরপর থেকেই উদ্বেগে রয়েছে পুরো পরিবার।

ভৌমিক পরিবারের উদ্বেগ নিয়ে ওই বুথের বিএলও সুমিত কুমার মালাকার বলেন, “এই ফর্ম বিলি নিয়ে আমার কিছু করার নেই। স্বস্তিক ভৌমিককে জীবিত দেখিয়েই এনুমারেশন ফর্ম এসেছিল। সেইমতো আমি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। যখন আগে নাম বাদ গিয়েছিল, তখন আমি বিএলও ছিলাম না।”