Malda: মাত্রা ৩০০ পার করছে, মালদহের গ্রামে-গঞ্জে কেন এত বিষ
Pollution in Bengal: অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এলাকায় অবৈধ মাটি খনন চলছে। মাফিয়াদের মদতে চলছে অবৈধ প্লাস্টিক কারখানা। অবৈধ ইটভাটা। নিয়মিত আগুন লাগছে প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে। অবৈধভাবে জমানো রয়েছে স্তুপাকার প্লাস্টিক বা ক্যারিবাগ। আর তার থেকেই ছড়াচ্ছে বিষ।

মালদহ: কলকারখানাহীন বাতাসেও বিষ! আর সেই বিষে ফুসফুস সংক্রামিত হচ্ছে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে মালদহে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে দ্রুত বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
মালদহের ইংরেজবাজার, হরিশ্চন্দ্রপুর, কালিয়াচক, সুজাপুর সর্বত্রই বায়ুদূষণ চরমে! এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI এই জেলায় ৩০০-র বেশি। শহরে দূষণ নতুন নয়। তবে গ্রাম্য পরিবেশ সত্ত্বেও বায়ুদূষণে বিপদসীমায় পৌঁছে গিয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ এর বেশি। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সরাসরি ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত এই মাত্রা। কর্তৃপক্ষের মতে, এই মাত্রার দূষণ সাধারণত শহরে দেখা যায়, ফলে একটি গ্রাম্য অঞ্চলের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত চিন্তার।
দিল্লি, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, ফরিদাবাদের মতো শহরগুলো বছরের এই সময় দূষণের কারণে শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু এবার সেই দূষণের তীব্রতা গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে শিল্পাঞ্চল, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজ দূষণ বাড়ায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু একটি গ্রামের AQI যখন ৩০০-তে পৌঁছে যায়, তখন বিষয়টি অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং বিপজ্জনক।
মালদহের সিএমওএইচ সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানিয়েছেন, মালদহের বাতাসে অতিমাত্রায় মিলেছে ভয়াবহ বিষ মাইক্রো প্লাস্টিক। যা টিবি থেকে শুরু করে ফুসফুসের রোগই বাড়াচ্ছে না। বাড়াচ্ছে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাও। পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রেকর্ড করা তথ্য অনুযায়ী-PM10: ১৩৫ μg/m³, PM2.5: ১৩৪ μg/m³ দুটিই সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় রয়েছে। PM2.5 কণা গভীরভাবে ফুসফুসে প্রবেশের ক্ষমতা থাকায় বিশেষজ্ঞরা এটিকে সবচেয়ে মারাত্মক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ এমনকী শিশুদের অসুখও বেড়েই চলেছে ক্রমশ।
অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এলাকায় অবৈধ মাটি খনন চলছে। মাফিয়াদের মদতে চলছে অবৈধ প্লাস্টিক কারখানা। অবৈধ ইটভাটা। নিয়মিত আগুন লাগছে প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে। অবৈধভাবে জমানো রয়েছে স্তুপাকার প্লাস্টিক বা ক্যারিবাগ। আর তার থেকেই ছড়াচ্ছে বিষ। কৃষিকাজের সময় ক্ষেতে খড় পোড়ানোও এই দূষণের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সিএমওএইচ। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ এইসব কারখানা বা ইটভাটা চলছে রাজ্য সরকারের মদতেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁরা জানাবেন বিষয়টি। স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আলদা টিম তৈরি করে মাঠে নামছে।
