Malda: সরকারি টাকায় দিঘায় গিয়ে তিন লাখি ফূর্তি? তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
Malda TMC: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আইনে রয়েছে কোন পঞ্চায়েত ভাল কাজ করেছে, সেই পঞ্চায়েতের কাজ দেখে সেখানে গিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের একটা সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সদস্যরা পঞ্চায়েতের তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় করে দিঘায় বিনোদন ট্যুর করেন। আর সেখানকার খরচের বিল প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়ক গাছ সকলের।

মালদহ: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় বিনোদনমূলক ট্যুর তৃণমূল নেতাদের। বিস্ফোরক অভিযোগ। এককথায় কেন্দ্রের দেওয়া সরকারি টাকায় দিঘায় আনন্দ ভ্রমণ তৃণমূল নেতাদের। আর সেই বিল সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ। আর সেই অভিযোগ সামনে আসতেই বিতর্ক। অস্বস্তিতে তৃণমূল। তদন্ত শুরু জেলা প্রশাসনের। মালদার মানিকচকের ঘটনা।
মানিকচক ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত চৌকি মিদ্দাপুরের তৃণমূল নেতারা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় দিঘায় ঘুরতে চলে গিয়েছেন। অভিযোগ এমনই। আর এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। তৃণমূল পরিচালিত চৌকি মিদ্দাপুরের মোট আসন ২৪টি। তৃণমূলের আসন ১৫টি। বিজেপি ৪টি ও সিপিএম-কংগ্রেস জোট ৫টি আসন পায়। এদিকে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল পরিচালিত।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আইনে রয়েছে, কোন পঞ্চায়েত ভাল কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখে, সেখানে গিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের একটা সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, তৃণমূল সদস্যরা পঞ্চায়েতের তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় করে দিঘায় বিনোদন ট্যুর করেন। আর সেখানকার খরচের বিল প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়ক গাছ সকলের।
সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ২১জুলাই সভায় যান। তারপর পঞ্চায়েত সদস্যরা দিঘায় গিয়ে পার্টি করেছেন। যার বিল বাবদ পঞ্চায়েত দফতরে জমা পড়েছে তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা।
তিনি বলেন, “এখানে তৃণমূল নির্বাচিত ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। বিজেপির বিরোধী দলনেতা রয়েছে। যদি কোনও পঞ্চায়েত ভাল কাজ করে, সেই পঞ্চায়েত দেখতে যাওয়ার জন্য যেতে পারে, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। সেই টাকা পঞ্চাদশ অর্থ কমিশন থেকে খরচ করতে পারে। এটা রাজ্য সরকার নির্ধারিত করেছে। চৌকি মিদ্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ২১ জুলাই মিটিং করার পর দিঘা ঘুরতে গেলেন। সেখানে হোটেলের বিল, খাওয়ার বিল, তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা জমা করেছে, সেটা পঞ্চায়েতে জমা পড়েছে। সেটাই জনসমক্ষে এসেছে। এখন অর্থ কমিশনের টাকায় যদি কাউকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে যেতেই হয়, তাহলে সর্বদলীয় প্রতিনিধি থাকতে পারত। ”
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ আনোয়ার আলি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি জানান বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে সরকারি দফতরের তথ্য কী করে ফাঁস হল, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে ব্যবস্থা হবে। তবে সরকারি তথ্য তো তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমেই হয়। বাইরে কীভাবে চলে আসছে? এসব ফেক কে ছড়াচ্ছে, এসব জেনেই মন্তব্য করা উচিত।” শুধু তাই নয়, সরকারি আধিকারিকদেরও একাংশ ম্যালাইন করেছেন শাসকদলকে, এমনই অভিযোগ তাঁর।
