Mamata Banerjee in North Bengal: ভুটানের জলেই ‘বিপর্যয়’! পড়শি দেশের থেকে ক্ষতিপূরণ চাইলেন মমতা
Mamata Banerjee News: এদিন ত্রাণ শিবির থেকেও একই কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি বললেন, 'ভুটানের জলে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। ওদের আমরা অনেকদিন ধরে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরির কথা বলেছি। বাংলাকেও সেই কমিশনের সদস্য করতে বলেছি। যাই হোক, আমাদের চাপে আগামী ১৬ তারিখ একটা বৈঠক হচ্ছে শুনলাম। আমরাও একজন অফিসারকে পাঠাব।'

নাগরাকাটা: উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে বিপর্যয় বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার সকালেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখানে মোট পাঁচদিন থাকবেন মমতা। পরিদর্শন করবেন একাধিক এলাকা। করবেন পর্যালোচনা বৈঠক। দুর্গতদের হাতে তুলে দেবেন ত্রাণ।
কী কী দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
সোমবার পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি মোতাবেক জলপাইগুড়ির বিপর্যস্ত নাগরাকাটায় পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একটি ত্রাণ শিবির থেকে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন তিনি। আগেই নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরাকাটার সংশ্লিষ্ট ত্রাণ শিবিরে গিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন মমতা। ওই এলাকায় বিপর্যয়ে নিহত ১০ জনের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র। এছাড়াও দেওয়া হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ।
উত্তরের বিপর্যয়ের জেরে ধসে গিয়েছে বহু বাড়ি। সোমবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাদের বাড়ি ভেঙেছে বা ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এদিন প্রথম ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে তিনি বললেন, ‘জল একটু নামলেই বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, এখানে যে লোহার সেতুটা ভেঙে গিয়েছিল, তাও মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। যাদের কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও সরকার বিমা দেবে। এতে আপনাদের কোনও খরচ হবে না, রাজ্য সরকারই সব কাজ করিয়ে দেবে। যাদের যা কাগজপত্র হারিয়েছে ত্রাণ শিবিরে এসে জানান, সেই কাগজের একটা ডুপ্লিকেট আমরা আবার বানিয়ে দেব। কারওর ছাগল-গরু হারিয়ে গেলে, তারা সেটাও ফেরত পাবেন।’
ইন্দু-রিভার কমিশন
বন্যা-ভূমিধসে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত হতেই ভুটানের দিকে তির বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকে উত্তরবঙ্গের এই পরিস্থিতির জন্য ভুটানের জলকে দায়ী করেছেন তিনি। এদিন ত্রাণ শিবির থেকেও একই কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি বললেন, ‘ভুটানের জলে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। ওদের আমরা অনেকদিন ধরে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরির কথা বলেছি। বাংলাকেও সেই কমিশনের সদস্য করতে বলেছি। যাই হোক, আমাদের চাপে আগামী ১৬ তারিখ একটা বৈঠক হচ্ছে শুনলাম। আমরাও একজন অফিসারকে পাঠাব।’
শুধুই কমিশন নয়, তাদের ‘জলে হওয়ার বিপর্যয়ের’ জন্য ভুটানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘মনে রাখতে হবে, ভুটানের জলে এত ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই ওরা ক্ষতিপূরণটা দিক। সবটাই তো আমাদের করতে হয়। দিল্লি তো এক পয়সা দেয় না।’ ত্রাণ শিবির থেকে বেরনোর সময় আবার শিশু, খুদেদের হাতে একাধিক খেলনাও তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
