AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Adhir Ranjan Chowdhury: মিটল বিবাদ? নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন অধীর!

Adhir Ranjan Chowdhury in Bihar: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলার এককালের সাংসদ ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। ভোটপর্বের আগে বিহারের জেলায় জেলায় ঘুরে কংগ্রেসের হয়ে জমি মাপবেন তিনি। রিপোর্ট জমা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

Adhir Ranjan Chowdhury: মিটল বিবাদ? নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন অধীর!
অধীর রঞ্জন চৌধুরীImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2025 | 11:13 PM
Share

পটনা: ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দায়িত্ব বাড়ল অধীরের। তবে কি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা ‘অলিখিত’ বিবাদ এবার মিটে গিয়েছে? বলা হয়, কংগ্রেসের অন্দরে থেকেই দলের সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন মোট ২৩ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাজনীতির কারবারিরা তাদের নাম দিয়েছেন জি-২৩ গোষ্ঠী। অধীর কখনওই এই গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন না। দলে সংস্কার চেয়েছেন, কিন্তু গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য বজায় রেখে। নামেননি সম্মুখ সমরে। তবে দলের নীতিতে সংস্কার প্রসঙ্গে পিছুও হটেননি। সেই অধীরই এবার পেলেন বড় দায়িত্ব।

শনিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস নেতৃত্ব তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলার এককালের সাংসদ ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। ভোটপর্বের আগে বিহারের কংগ্রেসের হয়ে জমি মাপবেন তিনি। রিপোর্ট জমা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

অবশ্য, এই বিহার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে যে শুধুই একা অধীরই রয়েছেন এমনটা নয়। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ ছাড়াও পড়শি রাজ্যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। একজন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অন্যজন ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। বাংলাতেও নানা নির্বাচনী দায়িত্ব রয়েছেন অধীর। তবে ছাব্বিশের ভোটের আগে দলের কাছে তাঁর বাড়ন্ত গুরুত্ব প্রসঙ্গে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য, বিহারের ভোটে জেলাভিত্তিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ও সাংসদ ইশা খান চৌধুরী-সহ মোট ১৯ জনকে।

প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া ব্লক তৈরির পর থেকেই কংগ্রেসের নীতি নিয়ে ‘বিপাকে’ পড়তে হয়েছে অধীরকে। তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট ঘিরে দেখা গিয়েছে দিল্লিতে ‘দোস্তি’ ও বাংলায় ‘কুস্তি’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসের এই নীতির জেরে গত লোকসভা নির্বাচনে আর ডবল হ্যাটট্রিক করা হয়নি অধীরের। এমনকি সাংসদ পদ হাতছাড়া হওয়ার পর অধীরের হারিয়েছেন প্রদেশ কমিটির সভাপতির পদও। সব মিলিয়ে দলের মধ্য়েই যেন বেশ ‘চাপা’ পড়ে গিয়েছিলেন অধীর, মত একাংশের।