Humayun Kabir: মুসলমান ভোট নিয়ে কোন অঙ্কে ‘অপজিশন পার্টি’ হওয়া যায় বলে দিলেন হুমায়ুন
Humayun Kabir On Election: কীভাবে বিধানসভায় সংখ্যালঘু বিধায়কের সংখ্যা কমেছে, তারও একটি পরিসংখ্যান দেন হুমায়ুন। মমতা সরকারকে খোঁচা দিয়ে হুমায়ুন বলেন, "২০১১সালে ক্ষমতায় আসার পর ৬৭ জন মুসলমান বিধায়ক ছিল। ৫ বছর পর ২০১৬ সালে সেটা নেমে এল ৫৭। ২০২১ সেটা নামল ৪৪ জনে।"

মুর্শিদাবাদ: বেলডাঙায় বাবরি মজসিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল ঘোষণার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। আগামী বিধানসভায় ১৩৫ আসনে প্রার্থী দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এবার ডাক দিলেন বিধানসভায় ‘অপজিশন’ হওয়ার। ভোট এখনও বেশ খানিকটা সময় পরে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের মাটি এখনও ভোটের পাটিগণিত কষতে শুরু করে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আর তা হতে শুরু করেছে ‘বাবরি মসজিদ’ ইস্যুর হাত ধরেই। হুমায়ুন মুসলমানদের ম এবং সেটি কীভাবে সম্ভব, সেই অঙ্কও কষে দিলেন হুমায়ুন।
বেলডাঙাতে ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু। এখানে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ভোটারের ৩৭ হাজার ৫২৯। তার মধ্যে ২ কোটি ৮২ লক্ষ ৫৩৩ জন সংখ্যালঘু। হুমায়ুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার মধ্যে ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৫৩৩ জন বাঙালি মুসলমান রয়েছে। হুমায়ুনের কথায় বলেন, “বাঙালি মুসলমানদের কাছে আবেদন আপনারা নিজেদের জায়গায় যেখানে ৪২ শতাংশ থেকে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত মুসলমান মেজরিটি সিট রয়েছে ৯০টি। এই ৯০ টা সিটের জন্য মুসলমানদের জোড়া প্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠাতে হবে।”
কীভাবে বিধানসভায় সংখ্যালঘু বিধায়কের সংখ্যা কমেছে, তারও একটি পরিসংখ্যান দেন হুমায়ুন। মমতা সরকারকে খোঁচা দিয়ে হুমায়ুন বলেন, “২০১১সালে ক্ষমতায় আসার পর ৬৭ জন মুসলমান বিধায়ক ছিল। ৫ বছর পর ২০১৬ সালে সেটা নেমে এল ৫৭। ২০২১ সেটা নামল ৪৪ জনে।”
হুমায়ুনের টার্গেট মূলত ৯০ টি আসন। তাঁর কথায়, “২০৪টে আসনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে লড়াই হোক।” বাকি আসনে প্রার্থী দেবেন হুমায়ুন। তিনি সরকার গড়তে উদ্যত নন, বরং বিরোধী পক্ষেই থাকতে চাইছেন বিধানসভায়। হুমায়ুনের কথায়, “ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বিধানসভায় বুঝে নেব।” আগামী ২২ ডিসেম্বর দল ঘোষণা করবেন হুমায়ুন। সেই প্রস্তুতিও তাঁরা সারা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধুই ঘোষণার অপেক্ষায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হুমায়ুনের এই নতুন দল ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই মমতা সরকারের বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। সঙ্গে শাসকদলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, কার্যত বিজেপির মদতেই হুমায়ুনের এই পদক্ষেপ! ভোট কাটাকাটির অঙ্কে কী ফল দাঁড়ায়, তা কতটা বেলডাঙার মাটিতে প্রভাব ফেলবে, সেই অঙ্কই কষছেন বিশ্লেষকরা।
