Naushad Siddiqui: ‘ভয় পেয়েই আইএসএফের সঙ্গে জোট করল না’, কার কথা বললেন নওশাদ?

Naushad Siddiqui: নওশাদ বলেন, "সংযুক্ত মোর্চার তরফে একমাত্র আইএসএফের বিধায়ক গিয়ে বিধানসভায় পারফর্ম করছে, একইভাবে লোকসভায় পারফর্ম করলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল হয়ত ভেঙে পড়বে। তাদের কর্মী সমর্থকরা আইএসএফের দিকে চলে আসবে। সেই ভয়ে জোট করেনি কেউ।"

Naushad Siddiqui: 'ভয় পেয়েই আইএসএফের সঙ্গে জোট করল না', কার কথা বললেন নওশাদ?
নওশাদ সিদ্দিকীImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2024 | 9:01 PM

মুর্শিদাবাদ: বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোট কেন হল না, তা নিয়ে নানা মহলে নানা যুক্তি শোনা যায়। তবে জঙ্গিপুরে দাঁড়িয়ে এই জোটের ব্যর্থতার কারণ হিসাবে অধীর চৌধুরীকে নিয়ে সরব হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তবে বললেন, একা অধীর নন, দায়ী আরও অনেকে। নওশাদের দাবি, বিধানসভায় তাঁদের একমাত্র বিধায়কের সাফল্য দেখে ভয় পেয়েই হয়ত আর লোকসভার ঝুঁকি নিতে চাইলেন না কেউ কেউ।

এদিন জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শাহজাহান বিশ্বাসের হয়ে ভোট প্রচারে যান নওশাদ। সেখানেই তিনি বলেন, “অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আরও অনেক নেতাই আছেন চাননি আইএসএফের পক্ষ থেকে লোকসভায় যাক। আসলে যেভাবে সংযুক্ত মোর্চার তরফে একমাত্র আইএসএফের বিধায়ক গিয়ে বিধানসভায় পারফর্ম করছে, একইভাবে লোকসভায় পারফর্ম করলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল হয়ত ভেঙে পড়বে। তাদের কর্মী সমর্থকরা আইএসএফের দিকে চলে আসবে। সেই ভয়ে জোট করেনি কেউ।”

একুশের বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইন্ডিয়ান সেক্য়ুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের। বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা হলেও, একমাত্র আইএসএফ প্রার্থীই জিতেছিলেন। তাও আবার ভাঙড়ের মত কেন্দ্র। মাঝের চার বছরে অবশ্য সে ছবিতে বদল এসেছে। প্রথম থেকেই আইএসএফের সঙ্গে বাকিদের দূরত্ব দেখা গিয়েছে। ২০১৪ সালের ভোটে ‘সংযুক্ত’ থাকা একেবারেই ঘুচেছে। নওশাদের দাবি, “আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি তৃণমূলকে পরাস্ত করতে জোট। দুঃখের বিষয় সেই জোট অনেকে চায়নি। তবে আমরা আমাদের লড়াই থেকে এক পা পিছিয়ে যাব না।”

যদিও আইএসএফের সঙ্গে জোটের ব্যর্থতা নিয়ে বিমান বসু বলেছিলেন, আইএসএফের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। একাধিকবার বৈঠক ডাকা হয়েছে, খবর দেওয়া হয়েছে, আসেনি কেউ। হঠাৎই প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করে দেয়। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে সেই একুশের ব্রিগেড মঞ্চ থেকেই আইএসএফের দূরত্ব। আব্বাস সিদ্দিকী মঞ্চে উঠতেই থামতে হয়েছিল অধীরকে। এ নিয়ে কম জলঘোলা সে সময় হয়নি।