Radhikapur Express Accident: লরির জন্যই দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস: রেল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগবে বেশ কয়েক ঘণ্টা
পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ডিআরএম জানিয়েছেন, লরির ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার নিকটবর্তী লেভেল ক্রসিং ঠিক সময়েই বন্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এবং লরিটি লেভেল ক্রসিং দিয়ে আসেনি। দুর্ঘটনাস্থলের উপরে যে ফ্লাইওভার রয়েছে, সেখান থেকে ভুল পথে নেমে এসেছিল লরিটি।
ফরাক্কা: রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে রাধিকাপুরগামী এক্সপ্রেস। জরুরিকালীন ব্রেক কষার পরও রেললাইনে দাঁড়িয়ে যাওয়া লরির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে পারেননি ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক। রবিবার এই ঘটনার পর থেকেই ওই রুটে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকেই তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে রেল। ডাউন লাইনকে ট্রেন চলাচলের জন্য তৈরি করে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক। তবে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হতে এখনও বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে রেলের তরফে।
পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ডিআরএম জানিয়েছেন, লরির ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার নিকটবর্তী লেভেল ক্রসিং ঠিক সময়েই বন্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এবং লরিটি লেভেল ক্রসিং দিয়ে আসেনি। দুর্ঘটনাস্থলের উপরে যে ফ্লাইওভার রয়েছে, সেখান থেকে ভুল পথে নেমে এসেছিল লরিটি। ফ্লাইওভার শুরুর জায়গা থেকে লরিটি নেমে এলেও তা পড়ে না গিয়ে কীভাবে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তা ভাবাচ্ছে রেলের আধিকারিকদের। রেলকর্তারা মনে করছেন, রেললাইনে এসে যাওয়ার পরও যদি লরিচালক কোনও আলো দেখাতেন তাহলে ট্রেনের চালক পরিস্থিতি সতর্কতা নিতে পারতেন। কিন্তু সে রকম কিছু না করায় জরুরি ব্রেক ব্যবহার করেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। যদিও চাসলকের তৎপরতায় বড় ক্ষয়ক্ষতি আটকানো গিয়েছে মত দাবি রেলের আধিকারিকদের।
এই দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রেল। লরিটির বিস্তারিত রেলের আধিকারিকদের হাতে ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশকে সেই সব তথ্য ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন মালদার ডিআরএম। এই ঘটনা নিয়ে রেলের তরফেও তদন্ত করা হবে।
এই ঘটনা নিয়ে মালদার ডিআরএম বিকাশ চৌবে বলেছেন, “লরির জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। লেভেল ক্রসিং দিয়ে লরি আসেনি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ফ্লাইওভারের উপর থেকে লরিটি নেমে এলেও কোনও ভাবে তা উল্টে যায়নি। সোজা হয়েই রেললাইনের উপর লরি দাঁড়িয়ে ছিল। তবে লরিচালক যদি কোনও আলো দেখাতেন সে ক্ষেত্রে ট্রেনের চালক দুর্ঘটনা এড়াতে পারতেন।” ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার প্রসঙ্গে ডিআরএম বলেছেন, “ট্রেনে আর কোনও যাত্রী নেই। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ করছি। ডাউন লাইনকে তৈরি করে ফেলা হয়েছে। সেখান দিয়ে এখন ট্রেন যেতে পারবে। অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেনও এসে যাবে। হাওড়া থেকে রেলের কর্তারাও আসছেন। উদ্ধারের প্রয়োজনীয় সবকিছু তৈরি রয়েছে। তবে কাজটা জটিল রয়েছে। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে।”