Murshidabad: চালককে খুন করে, টোটোর ব্যাটারি বিক্রি করে মেয়ের জন্য কিনল জামা! অবাক করা ঘটনা মুর্শিদাবাদে
Murshidabad: মূল অভিযুক্তের নাম সুজল হাজরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দৌলতাবাদ থানার বাসিন্দা আলীহিম শেখ তাঁর টোটো নিয়ে বহরমপুরে যান। সেই টোটো ভাড়া করেন সুজল হাজরা নামে বহরমপুরের চুয়াপুরের এক বাসিন্দা। এরপর টোটো চালকের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। প

বহরমপুর: টোটো চালককে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের সেই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করল বহরমপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রবিবার, ধৃতদের বহরমপুরে জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আলাইহিম শেখ(৩০)। তাঁর বাড়ি দৌলতাবাদের বেনিদাসপুরে।
অভিযোগ, টোটো চুরি করার উদ্দেশেই টোটো সহ চালককে অপহরণ করা হয়। পরে মারধর করে জলে ডুবিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে। পরে তদন্তে উঠে এসেছে, টোটো চালককে খুন করে ব্যাটারি বিক্রি করে কেনাকাটা করেছে আততায়ী।
মূল অভিযুক্তের নাম সুজল হাজরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দৌলতাবাদ থানার বাসিন্দা আলীহিম শেখ তাঁর টোটো নিয়ে বহরমপুরে যান। সেই টোটো ভাড়া করেন সুজল হাজরা নামে বহরমপুরের চুয়াপুরের এক বাসিন্দা। এরপর টোটো চালকের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে দৌলতাবাদ থানার এলাকার কুদবা পুকুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই চালকের দেহ উদ্ধার করে।
অভিযোগ, খুন করে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তদন্তে নেমেই সুজল হাজরা নামে একজনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে খুনের আসল কারণ। জানা যায়, সুজল হাজরা বেশ কিছুদিন ধরেই অভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন। বিগত দু’মাস ধরে তাঁর হাতে কোনও টাকা-পয়সা ছিল না। সামনেই ছিল পুজো। তাই অভাবের তাড়নায় সুজল হাজরা এই কাজ করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুজল প্রথমে টোটো ভাড়া করে। তারপর সেই টোটো চেপেই দৌলতাবাদ এলাকায় গিয়ে তাঁকে খুন করে সেই টোটো চালককে। এখানেই শেষ নয়। সেই টোটো চুরি করে বলেও অভিযোগ। পরে বহরমপুরে জগন্নাথ ঘাট এলাকায় টোটোটি রেখে ব্যাটারি খুলে বিক্রি করার সময় সহযোগিতা করেছিলেন উকিল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে টোটো চালককে খুন করে, পরেরদিনই মেয়ের জন্য পুজোর জামা কিনেছিলেন। কোন টাকায় কিনেছিল, সেটা জানা নেই দাবি বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সুজল হাজারার স্ত্রী রজনী হাজরা বলেন, “সংসারে অভাব লেগেই থাকত। প্রায় ঝামেলা হতো দু’জনের মধ্যে।”
