Illegal construction: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা, রণক্ষেত্র নদিয়ার গয়েশপুর

Nadia: নদিয়ার কল্যাণী থানার আনন্দনগরের ঘটনা। সরকারি আরআর ডিপার্টমেন্টের জমিতে বেআইনিভাবে কারখানা নির্মাণ তৈরির অভিযোগ।

Illegal construction: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা, রণক্ষেত্র নদিয়ার গয়েশপুর
নদিয়ায় বেআইনি কারখানা নিয়ে উত্তেজনা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2022 | 6:12 PM

গয়েশপুর (নদিয়া): ধুন্ধুমার নদিয়ার গয়েশপুর। সরকারি জমিতে তৈরি হওয়া নির্মীয়মাণ কারখানা ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যানকে ঘিরেও বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।

নদিয়ার কল্যাণী থানার আনন্দনগরের ঘটনা। সরকারি আরআর ডিপার্টমেন্টের জমিতে বেআইনিভাবে কারখানা নির্মাণ তৈরির অভিযোগ। সেই কারখানা ভাঙতে এসে বিক্ষোভ দেখান কারখানার শ্রমিক ও মালিক পক্ষ। জানা গিয়েছে, গয়েশপুর পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ নির্মাণ ও কারখানা উচ্ছেদ অভিযানে আসতেই বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। ১৮ নং ওয়ার্ডে রাস্তার পাশে অবস্থিত ছিল বেআইনি নির্মাণ সহ কারখানা। সেই কারখানার উচ্ছেদ করতে আসলেই রণক্ষেত্র চেহারা ধারণ করে।

এ দিন, কল্যাণী থানার পুলিশ প্রশাসন ও পৌরপ্রশাসন যৌথ ভাবে এই উচ্ছেদের অভিযান চালায়। এ দিকে, কারখানার মালিক জানান, ‘কারখানার বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। তাই কোর্ট যদি নির্দেশ দেয় তবেই আমি কারখানা বন্ধ করব।’ অন্যদিকে, এলাকার মানুষের অভিযোগ, রাজ্যে নেই তেমন শিল্প কারখানা। কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। সরকার যেখানে মানুষের বসবাসের জন্য জমির পাট্টা দিচ্ছে তখন একটা চালু কারখানা কেন বন্ধ করছে পৌরসভা? সেখানে কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে রয়েছে। সেই কারখানা গয়েশপুর পৌরসভা গায়ের জোরে কেন উচ্ছেদ করতে আসছে এবং যেটা এখনও পর্যন্ত বিচারাধীন।’ এরপরই এলাকাবাসী এই সকল দাবি নিয়ে পুরপ্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।

যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় খাদি ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের জমি। এই সোসাইটির কাছ থেকে ১৫ বছরের লিজ নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, গয়েশপুর পুরসভার দাবি, মহকুমা শাসকের নির্দেশে পুরসভা উচ্ছেদ অভিযান করছে। যদিও, কারখানা কর্তৃপক্ষের আইনজীবীর দাবি, বিষয়টি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে আদালতে। এই বিষয়ে এক এলাকাবাসী বলেন, ‘বেআইনি বললেই হবে না। বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। বিচারপতি ঠিক করবেন কারখানা আদৌ আইনি নাকি বেআইনি অবস্থায় রয়েছে।’