Kalyani Ghoshpara: ভিড়ে ভিড়াক্কার কল্যাণী, ঘোষপাড়ায় কেন থামছে না ট্রেন? চিঠি রেলকে
Kalyani Durga Puja: যেহেতু বেশ কয়েকটি আপ ট্রেন বিকেলের পর থামছে না কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে, তাই সমস্যার মধ্যে পড়ছেন এলাকাবাসীরা। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, যেহেতু ট্রেন ঘোষপাড়ায় থামছে না, তাই তাঁদের গিয়ে নামতে হচ্ছে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনে।
কল্যাণী: থিম পুজোর ধুম এখন শহরের গণ্ডি পেরিয়ে মফস্বলেও ছড়িয়ে পড়েছে। কলকাতার পুজোর ভিড়কে কার্যত টেক্কা দিচ্ছে কল্যাণী। গত বেশ কয়েক বছর ধরে কল্যাণীতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের। এমনকী শহর ও শহরতলি থেকেও অনেকে আসছেন ঠাকুর দেখতে। এবছর সেই ভিড় আরও বেড়েছে কল্যাণীতে। ভিড়ে ভিড়াক্কার অবস্থা। কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বড় পুজো। কল্যাণী আইটিআই মোড়ের কাছে লুমিনাস ক্লাবের পুজো। এই পুজো দেখতে প্রচুর ভিড় হচ্ছে দর্শনার্থীদের। আর অভিযোগ উঠছে, এসবের মধ্যেই বিকেলের পর থেকে আপ লাইনের কয়েকটি ট্রেন থামছে না কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে। এই নিয়ে বেজায় বিরক্তি সেখানকার স্থানীয় মানুষজনের।
যেহেতু বেশ কয়েকটি আপ ট্রেন বিকেলের পর থামছে না কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে, তাই সমস্যার মধ্যে পড়ছেন এলাকাবাসীরা। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, যেহেতু ট্রেন ঘোষপাড়ায় থামছে না, তাই তাঁদের গিয়ে নামতে হচ্ছে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে দু-তিন বার গাড়ি পাল্টে পৌঁছতে হয় বাড়িতে। তাতে খরচও অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, ক্ষোভ জমছে এলাকার মহিলাদের মনেও। কারণ, পুজোর মরশুমে ট্রেনগুলিতে মহিলা কামরায় প্রচুর পুরুষ উঠে পড়ছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। ফলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন অনেকে।
পুলিশ প্রশাসন ও রেল উভয়ের উপরেও ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীদের। একে তো কল্যাণী সীমান্ত স্টেশন থেকে আসতে বাড়তি টানা গুণতে হচ্ছে, তার উপর পুলিশ রাস্তাঘাটে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। ক্ষোভ রয়েছে পুজো কমিটিগুলির বিরুদ্ধেও। গত কয়েক বছরের ভিড় থেকে কেন শিক্ষা নিচ্ছে না পুজোর উদ্যোক্তারা, সেই নিয়েও প্রশ্ন এলাকাবাসীদের।
ঘটনাটি নিয়ে কল্যাণী নাগরিক কমিটির তরফে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম-কে একটি লিখিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। কল্য়াণী ঘোষপাড়া স্টেশনে ডাউন লাইনের ট্রেন থামলেও, আপ লাইনের ট্রেন না থামার বিষয়টি রেলের নজরে এনেছেন তাঁরা। একই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকেও। যদিও রেল বা পুলিশের তরফে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।