Nadia: ২০০২ তালিকায় সপরিবারে নাম নেই খোদ BLO-রই!
Nadia BLO: রজনীকান্ত কালিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বর্তমানে স্থানীয় ১৮৫ নম্বর বুথের বিএলও। ব্লক প্রশাসন তাকে নিয়োগপত্র দিলেও পরে জানা যায়, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। বয়সের কারণে তার নাম ওঠে ২০১৪ সালে।

নদিয়া: ২০০২ তালিকায় সপরিবারে নাম নেই খোদ বিএলও-রই! SIR শুরু হতেই রাজ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকে এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে BLO হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর নিজেরই নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়! আরও আশ্চর্যের বিষয়, সেই তালিকায় তাঁর পরিবারের কারও নামও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা রজনীকান্ত পালকে ঘিরে।
রজনীকান্ত কালিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বর্তমানে স্থানীয় ১৮৫ নম্বর বুথের বিএলও। ব্লক প্রশাসন তাকে নিয়োগপত্র দিলেও পরে জানা যায়, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। বয়সের কারণে তার নাম ওঠে ২০১৪ সালে। কিন্তু তার বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও নামও ২০০২ সালের তালিকায় না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, নিজের নামই নেই যার, তিনি আবার অন্যের নাম যাচাই করবেন কীভাবে?
রজনীকান্ত বলেন, “অফিস থেকেই BLO-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি তো আর নিজে ইচ্ছা করে হয়নি। কীভাবে বিডিও অফিস থেকে নাম এল বলতে পারব না। ফুলিয়া পাড়ার ২৬২ পার্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকার কথা নয়। তবে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এলাকার আদি বাসিন্দা। ২০০২ সালের তাঁর বাবারও নাম ভোটার লিস্টে ছিল না। তাঁর নাম ২০১৪ সালে ভোটার লিস্টে ওঠে বলে জানান তিনি। আর এখানেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এই নিয়ে বিডিও সন্দীপ ঘোষ বলেন, “আমরা আগে কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি শিক্ষক, আশাকর্মী, সরকারি কর্মীদের নতুন বিএলও হিসাবে নিয়োগ করেছিলাম। গত পরশু কমিশনের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা আসে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, নতুন যাঁদের BLO নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে রয়েছে কিনা। এই ম্যাপিংটাও করছি। তাতে দেখা গিয়েছে, রজনীকান্তের নাম নেই। যাকে আমরা নিয়োগপত্র পাঠিয়েছিলাম, পরে খতিয়ে দেখা যায়, তাঁর নাম, তাঁর বাবার নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নেই। আগে BLO নিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্যারামিটার ছিল না, এখন নির্দেশ আসায়, সেই তথ্য কমিশনে পাঠানো হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হবে।”
