SIR আবহে হরিণঘাটায় সংখ্যালঘু ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ
SIR: অসীম সরকার আরও জানান, “এসআইআর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এই ধরনের ভুয়ো নাম দ্রুত ধরা পড়বে এবং বাদ যাবে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে—এই তথাকথিত ভোটাররা কোথা থেকে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

নদিয়া: হরিণঘাটায় ভুয়ো মুসলিম ভোটার নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হরিণঘাটা বিধানসভার হিংনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভুয়ো মুসলিম ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের অভিযোগ, যেসব এলাকায় মুসলিমদের কোনও বাড়িঘর নেই, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনের সহযোগিতায় মুসলিম ভোটারদের নাম জোর করে ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে। তাঁর দাবি, এই ভোটারদের অনেকেরই এলাকায় স্থায়ী ঠিকানা নেই, তবুও তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র ভোটের স্বার্থে।
অসীম সরকার আরও জানান, “এসআইআর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এই ধরনের ভুয়ো নাম দ্রুত ধরা পড়বে এবং বাদ যাবে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে—এই তথাকথিত ভোটাররা কোথা থেকে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বিজেপি কর্মীরা এ নিয়ে চাকদহ বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। বিজেপির বক্তব্য, এই ধরনের অনিয়ম ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট করছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অসীম সরকার কখন কোন কথা বলেন ও কোন পথে চলেন সেটা বোঝার দুঃসাধ্য। নাম তোলা বা কাটা নিয়ে যদি আমরা দেখি ঘুরপথে SIR-এর সমালোচনা করছেন। উনাদের দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকে চক্রান্ত করছে বাংলার প্রতি। নিজের দলের বিভাজন ঢাকতে প্রশাসনের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। এসআইআর ব্যবস্থা চালু থাকায় মিথ্যা অভিযোগ টিকবে না। আগামী চার তারিখ থেকে আমরা ক্যাম্প করব কোন বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না।”
চাকদহ বিডিও সমীরণ কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এসআইআর সিস্টেমের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটারদের তথ্য পরিস্কারভাবে উঠে আসবে।” ভোটের মুখে এই অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। প্রশাসনিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে আলোচনা—ভোটের আগে এই বিতর্ক হরিণঘাটার রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার।
