Kalyani AIIMS: AIIMS-এ কে ঢোকাবেন ‘নিজের’ লোক? ২ বিজেপি বিধায়কের তুমুল কোন্দল
BJP Group Clash: সেই সময় সংবাদ-মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কবিয়াল অসীম সরকার। তিনি অভিযোগ তোলেন, সম্প্রতি কল্যাণী এইমসে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সময় কাউকে না জানিয়েই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগ সংযোগ করে অম্বিকা রায় ৩০ জন কর্মীকে কাজ করিয়েছিলেন।

কল্যাণীর বসন্তপুরে এইমস হাসপাতালে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে ছয় জন বিজেপি বিধায়ককে তিনটি করে কর্মী নিয়োগের কোটা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসকে দশটি কর্মী নিয়োগের কোটা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আইএসএফকে দেওয়া হয়েছে তিনটি কর্মী নিয়োগের কোটা। কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়কে দেওয়া হয়েছে ছয় জন কর্মী নিয়োগের কোটা।
অভিযোগ, প্রথম দিন শনিবার ও দ্বিতীয় দিন সোমবার কল্যাণী এইমস হাসপাতালে গিয়ে কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় কর্তৃপক্ষকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, যত নিয়োগ হচ্ছে সব বন্ধ করতে হবে। তাঁকে ৩০ টি কর্মী নিয়োগের কোটা দিতে হবে। এই খবর জানাজানি হতেই মঙ্গলবার দুপুরে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে এসে হাজির হন বিজেপি ছয় বিধায়ক, অসীম সরকার, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, স্বপন মজুমদার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অসীম বিশ্বাসরা। দীর্ঘক্ষণ কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা করেন। লিখে পাঠানো হয় কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়কে।
সেই সময় সংবাদ-মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কবিয়াল অসীম সরকার। তিনি অভিযোগ তোলেন, সম্প্রতি কল্যাণী এইমসে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সময় কাউকে না জানিয়েই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগ সংযোগ করে অম্বিকা রায় ৩০ জন কর্মীকে কাজ করিয়েছিলেন। এমনকী, তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এখানে তাঁদের কাজ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগের লিস্ট আরও লম্বা। জানা গিয়েছে, তাঁদেরকে একটি করে আইকার্ড দেওয়া হয়েছিল যা ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালের। অসীমের প্রশ্ন, অম্বিকা কোথা থেকে পেলেন ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালের আই কার্ড? এখন ওই ৩০ জনকে এই হাসপাতালে কাজ দেওয়ার জন্য সক্রিয় হয়েছেন অম্বিকা রায়। এটা তো হতে দেওয়া যেতে পারে না। এর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অসীম সরকার বলেন, “এই কার্ড দেওয়ার অধিকার দিল কে? এইমসের অনুমতি না দিয়েই বা কীভাবে কাজ করলেন?” তিনি আরও বলেন, “ভুবনেশ্বরের আইডি কার্ড দিয়ে কাজ করালেন। আর কোনও শক্তিতে উনি বললেন যে ৩০ জনকে কাজে নিতে হবে আর বাকিদের বাদ যাবে?”
যদিও এ বিষয়ে অন্যান্য বিধায়ক বা অভিযুক্ত অম্বিকা রায় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেননি। পরে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ প্রমাণ করুক বিধায়ক অসীম সরকার। তবে এ বিষয়ে তিনি উচ্চ নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছেন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেতৃত্ব দেবে। সংবাদমাধ্যমের সামনে বা দলের বাইরে এ বিষয় নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তিনি বলেন, “রাজ্যের নেতা দেখবেন। তাঁরা যা বলার বলবেন।”
অন্যদিকে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশীস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার ব্লগ ওভারে এসে ভালই ব্যাট করছেন। কখনো CAA নিয়ে, কখনো দুর্নীতি নিয়ে।”
