পানিহাটি: সদ্যই পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সোমনাথ দে দায়িত্ব নিয়েছেন। আর চেয়ারম্যান বদলের পরই একের পর এক কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গতকাল ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশের নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সোমবার জানা গেল, পানিহাটি পুরসভার আরও দুই কাউন্সিলর হুমকি ফোন পেয়েছেন। তিন কাউন্সিলরকে হুমকি ফোন নিয়ে চেয়ারম্যান সোমনাথ দে বলছেন, বাম আমলেও এমন হুমকি ফোন কখনও পাননি তাঁরা।
গতকাল সম্রাট চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তাঁর পুত্র তীর্থঙ্কর ঘোষকেও হুমকি দেওয়া হয়। তীর্থঙ্কর পানিহাটি পৌরসভার পারিষদ সদস্য। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সম্রাট।
সম্রাট চক্রবর্তীর পর হুমকি ফোন পান পানিহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তী। এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দে। তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পানিহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান-সহ তিন কাউন্সিলরকে ফোনে থ্রেট কল নিয়ে সরগরম স্থানীয় রাজনীতি। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান বদলের পর থেকেই কেন ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। কে বা কারা করছে এই থ্রেট কল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ এবং ঘোলা থানার পুলিশ।
ভাইস চেয়ারম্যান-সহ তিন কাউন্সিলরকে হুমকি ফোন নিয়ে চেয়ারম্যান সোমনাথ দে বলেন, “এভাবে থ্রেট করবে, এটা কখনও আশা করিনি। অন্য কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এরকম কথা বলিনি। বামেরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমরা এরকম কোনও থ্রেট পাইনি। পানিহাটিকে কেউ অশান্ত করতে চাইলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
তবে থ্রেট কল নিয়ে বিচলিত নন বলে জানান তীর্থঙ্কর ঘোষ। সম্রাট চক্রবর্তীর ফোনে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, “আমরা এই নিয়ে বিচলিত নই। সিপিএমের রক্তচক্ষু দেখে রাজনীতি করেছি। আমি এতে বিচলিত নই। আমার কাছে কোনও ফোনও আসেনি।”
থ্রেট কল নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপির যুবনেতা জয় সাহা বলেন, “এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা। প্রশাসন এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না কেন? আর এটা নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে? এটা এদের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিছুই হবে না। শুধু কয়েকজন কাউন্সিলরের নিরাপত্তা বেড়ে যাবে।”