Naihati Stadium: খেল দেখাচ্ছে করোনা, নৈহাটি স্টেডিয়ামে এবার ফুটবলের বদলে সেফ হোম!
Naihati: বন্ধ হল আইলিগ।
উত্তর ২৪ পরগনা: চোখের পলক পড়ছে আর তার মধ্যেই যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা বোধহয় কল্পনার বাইরে চলে যাচ্ছে। কলকাতাতে ইতিমধ্যেই হাজার ছাড়িয়ে আক্রান্ত। ঠিক তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩১৫ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এর আগে এই সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করত ৫০ থেকে ৬০জনের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নৈহাটি স্টেডিয়াম। বন্ধ হয়েছে আইলিগ। সেখানে খোলা হয়েছে সেফ হোম। আজ প্রস্তুতি দেখতে উপস্থিত হন জেলাশাসক নিজেই।
এদিকে, হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা এতটা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনিক মহলে। বিশেষ করে শহর লাগোয়া যে অঞ্চলে বিধাননগর এবং দমদম সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বেশি। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনায় দু’টি হসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তি করানো হচ্ছে একটি সি, এম ,সি আই এবং অপরটি সাগর দত্ত।
কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগের যে হাসপাতালগুলিতে করোনার চিকিৎসা হত সেই হাসপাতালগুলিকে পুনরায় প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি যে সেফহোমগুলি চালু করা হয়েছিল, সেগুলিকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে জেলাশাসক এলাকার প্রশাসন ও ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
প্রসঙ্গত, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যে কোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ তো বলছেন, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই হাসপাতাল পরিকাঠামোয় বিশেষ নজর দেওয়া শুরু। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রথম ঢেউয়ের মতোই শয্যা তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতিদিন কত নমুনা পজিটিভ হচ্ছে তাও জানাতে হবে স্বাস্থ্যভবনকে।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যে কোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ তো বলছেন, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই হাসপাতাল পরিকাঠামোয় বিশেষ নজর দেওয়া শুরু। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রথম ঢেউয়ের মতোই শয্যা তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতিদিন কত নমুনা পজিটিভ হচ্ছে তাও জানাতে হবে স্বাস্থ্যভবনকে।
পাশাপাশি ওষুধের স্টক কী রয়েছে সে বিষয়েও তথ্য দিতে বলা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। নজরে রাখতে বলা হয়েছে চিকিৎসার অন্যান্য সামগ্রীর স্টকের দিকেও। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ভবন সরকারি হাসপাতালগুলিকে যেমন সদা জাগরূক থাকতে বলেছে, একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও।
আরও পড়ুন: Corona in Kolkata: ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হলেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন! বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরনিগমের