Blood Donation camp: এবার বিক্ষোভ নয়, রক্ত দিয়ে সিলিকোসিস আক্রান্তদের পাশে আশা কর্মীরা

Basirhat: এই রোগের চিকিৎসায় অক্সিজেনের পাশাপাশি রক্তেরও প্রয়োজন হয়।

Blood Donation camp: এবার বিক্ষোভ নয়, রক্ত দিয়ে সিলিকোসিস আক্রান্তদের পাশে আশা কর্মীরা
আশা কর্মীদের রক্তদান (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2021 | 1:11 PM

বসিরহাট: এতদিন একাধিকবার খবরে উঠে এসেছিল বিভিন্ন জায়গায় আশা কর্মীদের বিক্ষোভ। রাজ্যের এদিক-ওদিক অধিকাংশ জায়গায় বিক্ষোভে করতে দেখা গিয়েছে আশা কর্মীদের। কখনও প্রাপ্য মজুরি, কখনও বা বকেয়া বেতন। রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন আশাকর্মীরা। কিন্তু এবার তাদের অন্যরূপ। সুন্দরবনের সিলিকোসিস আক্রান্তদের পাশে আশা কর্মীরা।

মিনাখাঁ ব্লকের ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালদহ গ্রামে বেশ কয়েকজন এই মারণ ব্যাধি সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত। ইতিমধ্যে সেখানে বেশ কয়েক জন মারাও গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় দশ থেকে বারো বছর আগে আক্রান্ত যুবকরা আসানসোল, কোলিয়াড়ি ও জামুরিয়া মতো জায়গায় পাথরের খাদানে কাজ করতে যেতেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মারণ রোগ সিলিকোসিসে আক্রান্ত হন তাঁরা। ধীরে-ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।

সূত্রের খবর, এই রোগের চিকিৎসায় অক্সিজেনের পাশাপাশি রক্তেরও প্রয়োজন হয়। আর সেই চাহিদা মেটাতেই মিনাখাঁ ব্লকের বামনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশাংড়া গ্রামে রক্তদান শিবিরে রক্তদান আশা কর্মীদের। উদ্দেশ্য একটাই, এই এলাকায় সিলিকোসিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের প্রয়োজন মেটানো। আশা কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রক্ত দান করেন এদিন। এর ফলে একদিকে যেমন সিলিকোসিস আক্রান্তদের রক্তের চাহিদা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ঠিক তেমনই গর্ভবতী মা সহ থ‍্যালোসেমিয়া রোগীদের প্রয়োজন মিটবে। যার জন্যই এই বিশেষ রক্তদান শিবিরের আয়োজন।

এই রক্তদান শিবিরে আশাকর্মীদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন বামনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়ারুল হক মোল্লা সহ একাধিক স্বাস্থ্য দফরের কর্মী আধিকারিকরা। এক উদ্যোক্তা জানান, “এই নিয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ল আমাদের রক্তদান শিবির। আমরা চেষ্টা করছি প্রতি বছরই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার। আসলে রক্ত তো যেখানে সেখানে তৈরি হয় না। মানুষের শরীরের তৈরি হয়। অনেক সময় রক্ত পাওয়া যায় না। সেই সময় ঘাটতি হয়। এই সিলিকোসিসি রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই রক্তের ঘাটতি যাতে না হয় সেই কারণেই এই উদ্যোগ।”

সিলিকোসিস কী? এটি ফুসফুসের একটি রোগ। দীর্ঘদিন ধরে ধূলোর সূক্ষ্মকণা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে এই রোগের সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, এটি মূলত পেশাগত রোগ। এই রোগের মূলেই রয়েছে ‘ক্রিস্টালাইজ়ড সিলিকা’ বা স্ফোটিকাকৃতি বালি বা পাথরের কণা। যেখানে এমন ধূলোর কণা উড়ছে, দীর্ঘদিন সেই পরিবেশে কাজ করলে এই রোগ হতে পারে। সেই কারণে কোলিয়াড়ি, পাথর খাদানের মতো জায়গায় কাজ এই রোগ হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।

আরও পড়ুন: West Bengal municipal election 2021: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল