Bangaon Municipality: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ইস্তফা দিলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ
Bangaon:লোকসভা ভোটের পর যে যে পুরসভা এলাকায় তৃণমূল ভাল রেজাল্ট করেনি, সেই সেই এলাকা পর্যালোচনা করে তৃণমূল নেতৃত্ব পৌরপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় এই নির্দেশ এসে পৌঁছয়। তেমনই ছিল বনগাঁ পুরসভা। আর এই পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় উচ্চ নেতৃত্ব।

বনগাঁ: দীর্ঘ টানা-পোড়েনের পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোপাল শেঠ। আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দিলেন বনগাঁর পুরপ্রধান। গোপাল সরতেই বাজি ফাটিয়ে উল্লাস তৃণমূলের গোপাল বিরোধী গোষ্ঠীর। গোপালের পদত্যাগের পর মনে করা হচ্ছে, বনগাঁ পুরসভায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটা খানিকটা কাটল বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি গোপাল শেঠের।
কী নিয়ে সমস্যা?
লোকসভা ভোটের পর যে যে পুরসভা এলাকায় তৃণমূল ভাল রেজাল্ট করেনি, সেই সেই এলাকা পর্যালোচনা করে তৃণমূল নেতৃত্ব পৌরপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় এই নির্দেশ এসে পৌঁছয়। তেমনই ছিল বনগাঁ পুরসভা। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাস পরাজিত হন বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে। আর এই পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় উচ্চ নেতৃত্ব। তবে সেই নির্দেশ মানেননি তিনি। বারেবারে একটাই কথা বলে এসেছেন, দলীয় মাধ্যমে তিনি জানতে পারেননি। জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস তাঁকে জানিয়েছেন, তবে দলের উচ্চ-নেতৃত্ব কিছুই জানাননি। ফলে গোপাল ইস্তফা দেবেন কি দেবেন না সেই নিয়ে তীব্র ঝামেলা হয়। এরই মধ্যে হঠাৎ ছুটি নেওয়ার ঘোষণা করেন গোপালবাবু। অসুস্থতার কারণ দেখান তিনি। এরপর তা পৌঁছয় ভোটাভুটি পর্যন্ত। তবে, আস্থা ভোটের আগেই এবার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দলের উপরের কোনও নেতা-নেত্রীর ফোন পেয়েই তিনি এই ইস্তফা দিয়েছেন।
আজ গোপাল ইমেলের মাধ্যমে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠান। পৌরসভার ইও ও এসডিও-র কাছে এই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বনগাঁ পুরসভার দলনেতা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, “দলের নির্দেশ ইত্যাদি ইত্যাদি সবই ঠিক আছে। তবে সেটা কীভাবে সকলকে জানাতে হবে তা যাঁরা দলের দায়িত্বে আছেন তাঁরা একটু জানিয়ে দেন তাহলে বনগাঁ মানুষ উপকৃত হন।”
