Partha Bhowmick: ‘বৈধ ভোটার বাদ দিলে মমতা-অভিষেক বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে দেবেন’, হুঙ্কার পার্থর
Barrackpore TMC Partha Bhowmick: এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ বললেন, 'এটা সবার লড়াই। কোনও বিজেপি নেতা আপনাদের প্রলোভন দিতে এলে বলে রাখবেন, নাম বাদ গেলে আপনাদের ছাড়ব না। আমি বলে রাখছি, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে বিজেপির নেতাদের পাড়ায় পাড়ায় ধরবেন, আটকে রাখবেন।'

উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার জেরে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে জ্বলবে বাংলা। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান থেকে এই সুরেই হুঙ্কার দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এদিন বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে হেলেঞ্চা নেতাজি শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে আয়োজিত হয়েছিল বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় মুখ। উপস্থিত ছিলেন পার্থ ভৌমিকও।
এসআইআর নিয়ে হুঙ্কার
এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ বললেন, ‘এটা সবার লড়াই। কোনও বিজেপি নেতা আপনাদের প্রলোভন দিতে এলে বলে রাখবেন, নাম বাদ গেলে আপনাদের ছাড়ব না। আমি বলে রাখছি, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে বিজেপির নেতাদের পাড়ায় পাড়ায় ধরবেন, আটকে রাখবেন।’
অবশ্য, পার্থ যে এখানেই থেমে গিয়েছেন এমনটা নয়। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকেও আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি স্পষ্ট বলেন, SIR কারওর পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে সব নাম বাদ দিয়ে দেবে। তাঁর কথায়, ‘আমরা কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে দেব না। ওরা যদি একটা বৈধ ভোটার দেওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে দেবে। জ্বলবে বাংলা।’
এসআইআর নিয়ে একই ইঙ্গিত শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচম কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। একটা কথা আছে না বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। এখানে যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি বেড়ে খেলবেন না।’
এসআইআর নিয়ে মতুয়া মনে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর দাবি, ওপার বাংলা থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বিজেপি। এদিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মমতাবালা বলেন, ‘বিশেষ করে যাঁরা ওপার বাংলা থেকে এসেছে, তাদের নাগরিকত্ব দেবে বলেছিল বিজেপি। কিন্তু নাগরিকত্ব কাটার প্রথম ধাপ এই এসআইআর। এটা ভয়াবহ পরিস্থিতি।’
