Basirhat Dengue: সুন্দরবনে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রভাব, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারাও
Basirhat Dengue: চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বর্ষাকালে এরকম জ্বর হয়েই থাকে। ভয় পাওয়ার কারণ না থাকলেও অল্পবিস্তর চিন্তা তো থাকছেই। আউটডোরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের লম্বা লাইন, চিন্তা বাড়াচ্ছে বইকি।
উত্তর ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫। বসিরহাটের একাধিক হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ২০ জন। উদ্বিগ্ন প্রশাসন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশু থেকে বয়স্করা এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ২০ জন জ্বর নিয়ে ভর্তি। পাশাপাশি হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলেরবিল ব্লক হাসপাতালে ইতিমধ্যে দু’জনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী চিকিৎসকরা উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার নিদান দিচ্ছেন।
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বর্ষাকালে এরকম জ্বর হয়েই থাকে। ভয় পাওয়ার কারণ না থাকলেও অল্পবিস্তর চিন্তা তো থাকছেই। আউটডোরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের লম্বা লাইন, চিন্তা বাড়াচ্ছে বইকি।
বসিরহাট স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে সংখ্যায় শিশু ও মহিলারা বেশি। এছাড়া ডেঙ্গু সচেতনতা বার্তা নিয়ে এক দিকে সুন্দরবনের সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লক, হাড়োয়া ও মিনাখাঁ। অন্যদিকে সীমান্তবর্তী বাদুড়িয়া ও স্বরূপনগর-সহ একাধিক ব্লকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু ও কোভিড সচেতনামূলক প্রচার করছেন।
জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৌশিক মন্ডল বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত রোগী এলে আমরা তাদের রুটিন চেকআপ করছি, প্রয়োজনে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে।”