Deganga School Student Beaten: চিড়ে গিয়েছে মুখ, পিঠে কালশিটের দাগ, প্রধান শিক্ষকের মারে স্তম্ভিত অভিভাবকরা
Deganga: জখম ছাত্রের নাম হাসিন আরমান মণ্ডল। আরমান দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর এফ পি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
দেগঙ্গা: বাঁশের কঞ্চি দিয়ে লাগাতার মার পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে। মারের চোটে গাল কেটে গিয়েছে নির্যাতিত কিশোরের। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির প্রধান শিক্ষকের দিকে। ঘটনাটি স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নির্যাতিত ছাত্রটির পরিবারের তরফে থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জখম ছাত্রের নাম হাসিন আরমান মণ্ডল। আরমান দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর এফ পি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালবেলা রোজের মতোই ওই কিশোর স্কুলে গিয়েছিল। সেই সময় প্রধান শিক্ষক স্কুলের আর সকল ছাত্রদের সঙ্গেই আরমানকে পিটি করা করাচ্ছিল। অভিযোগ, তখনই কোনও দুষ্টুমি করেছিল আরমান। তার শাস্তি স্বরূপ বেধড়ক মারধর করেন প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দাস। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে লাগাতার মারধর করা হয় বাচ্চাটিকে। কঞ্চি দিয়ে তার মুখে-পিঠে নির্মম ভাবে আঘাত করারও অভিযোগ উঠেছে। কিশোরের পরিবারের দাবি, মারের চোটে গাল ফেটে গিয়ে বেরিয়েছে রক্ত। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।
খবর পেয়ে আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় অভিভাবকরা এসে শিক্ষককে আটকে রাখে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত শিক্ষক উত্তম কুমার দাস নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু এরপরও আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিভাবক থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। কিশোরের মা বলেন, “আমার ছেলের কোনও ভুল নেই। তাও ওকে এইভাবে মার খেতে হল। আমি প্রধান শিক্ষককের শাস্তি চাইছি।”শুধু ছাত্রের মা নয়, পাশাপাশি অন্য অভিভাবকরাও ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দাস জানিয়েন, “বাচ্চারা আম ছোড়াছুড়ি করছিল। আমি অনেকবার বারণ করি। সব বাচ্চারা শুনলেও ও কথা শোনেনি। তখনই আমি রেগে যাই। তারপর মারধর করি। তবে এভাবে প্রহার করা ঠিক হয়নি আমার। ভুল হয়ে গিয়েছে।” গোটা ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে নিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Basanti Mischief arrested: ৩ দিন পর ফের উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বাসন্তীতে গ্রেফতার দুই ভাই