AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vishwakarma Puja: গণেশের কাছে কোথাও কি পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বকর্মা?

Viswakarma-Ganesh Puja: তবে শুধু চাহিদা নয়, এর পিছনে রয়েছ বেশি লাভের আশাও। মৃৎশিল্পীরা বলছেন, গণেশ যে দামে বিক্রি হয় তার অর্ধেক দামে বিক্রি হয় একই হাইটের বিশ্বকর্মা। তাঁরা বলছেন অনেক জায়গাতেই গণেশ পুজোর চাঁদাও বেশ খানিকটা বেশি থাকে।

Vishwakarma Puja: গণেশের কাছে কোথাও কি পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বকর্মা?
কী বলছেন মৃৎশিল্পীরা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2025 | 10:26 AM
Share

কলকাতা: কয়েকদিন আগেই ছিল গণেশ চতুর্থী। মিটতে না মিটতেই সামনেই আবার বিশ্বকর্মা পুজো। হাতে আর ক’দিন। কিন্তু গণেশের কাছে কোথাও কি একটু পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বকর্মা? অন্য একাধিক রাজ্যে ধুমধাম করে গণেশ চতুর্থীর চল থাকলেও এ রাজ্যে খুব একটা চল ছিল না। তবে হত না যে এমনটা নয়। কিন্তু, এখন শহর হোক বা মফঃস্বল সর্বত্র ঢুঁ মারলে মানুষ বলছে আগে রেওয়াজ না থাকলে বিগত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে গোটা বাংলাতেই বেড়েছে গণেশ চতুর্থীর চল। মৃৎশিল্পীরাও বলছেন সে কথা। বারাসতের অনেক মৃৎশিল্পীই এবার গত  বছরের তুলনায় প্রায় ৫০টি করে বেশি গণেশ বানিয়েছিলেন। 

তবে শুধু চাহিদা নয়, এর পিছনে রয়েছ বেশি লাভের আশাও। মৃৎশিল্পীরা বলছেন, গণেশ যে দামে বিক্রি হয় তার অর্ধেক দামে বিক্রি হয় একই হাইটের বিশ্বকর্মা। তাঁরা বলছেন অনেক জায়গাতেই গণেশ পুজোর চাঁদাও বেশ খানিকটা বেশি থাকে। ফলে মোটা টাকা দিয়ে প্রতিমা কিনতে পারেন উদ্যোক্তারা। সেই দিক থেকে বিশ্বকর্মার দাম চড়ালেও লাভ হয় না। ফলে অনেকেই বর্তমানে কমিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকর্মা তৈরি। অকপটেই বলছেন সে কথা। 

কী বলছেন বাংলার মৃৎশিল্পীরা?  

বারাসতের মৃৎশিল্পী শম্ভু পাল যেমন বলছেন, চাহিদা ও সময় একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। “গণেশের অর্ডার অনেক বেশি ছিল এবার। আগেরবার যেখানে ৩০টা অর্ডার ছিল। এবার সেখানে ৪৫টা অর্ডার এসেছে। ধীরে ধীরে তো গণেশ পুজোর চলটাও অনেকটা বাড়ছে। আর যেহেতু পরপর পুজো তাই বিশ্বকর্মার প্রোডাকশনটা আমরা ঠিক দিতে পারছি না। আর বিশ্বকর্মার চাহিদাও কমে যাচ্ছে।” 

একই কথা অন্য়ান্য মৃৎশিল্পীদের মুখেও। আর এক মৃৎশিল্পী বলছেন, “বিশ্বকর্মার অর্ডার অনেকটাই কমে গিয়েছে। তা ছাড়াও সামনে আবার দুর্গাপুজো তাই একসঙ্গে করা যাচ্ছে না। বেশ কিছু অর্ডার ছেড়েও দিয়েছি। অন্যদিকে গণেশের এবার অনেক চাহিদা। আগে বাইরে এই পুজো হলেও এখন বাংলাও খুব এই পুজোর চল বেড়েছে। ফলে প্রতিমার চাহিদাও বেড়েছে। আর বিশ্বকর্মার থেকে গণেশের দামও ডাবল।”