Deganga: দেগঙ্গায় যুবকের রক্তাক্ত উলঙ্গ দেহ উদ্ধাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা, পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ
Body Recover in Deganga: এলাকার বাসিন্দা কামিরুল মণ্ডল বলছেন, “আমরা যখন খবর পেলাম তখন এসে দেখলাম উলঙ্গ অবস্থায় জমিতে পড়ে রয়েছে। কেউ একটা গামছা উপরে চাপিয়ে দিয়েছে। ছেলেটাকে কাল রাত থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের সকলেই খোঁজাখুঁজি করছিল। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি।”

দেগঙ্গা: যুবকের রক্তাক্ত উলঙ্গ মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেগঙ্গায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এল পুলিশ। কিন্তু পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের ঘিরেও চলল ব্যাপক বিক্ষোভ। এদিন দেগঙ্গার সোহায় শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্বেতপুর গ্রামের মধ্যে থাকা একটি ধানের জমিতে ওই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। শরীরে কোনও জামা-কাপড়ও ছিল না। খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ছুটে আসেন অন্য়ান্য এলাকার লোকজনও।
পরিচয় নিয়ে সামায়িকভাবে চাপানউতোর শুরু হলেও কিছু সময়ের মধ্যেই জানা যায় ওই যুবকের নাম শরিফুল ইসলাম। এলাকার লোকজনের সন্দেহ, অন্যত্র তাঁকে খুন করে ওই জমিকে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশও। তাঁরা দেহ উদ্ধার করতে গেলেও তাঁদের ঘিরে ধরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় এলাকার বাসিন্দাদের।
এলাকার বাসিন্দা কামিরুল মণ্ডল বলছেন, “আমরা যখন খবর পেলাম তখন এসে দেখলাম উলঙ্গ অবস্থায় জমিতে পড়ে রয়েছে। কেউ একটা গামছা উপরে চাপিয়ে দিয়েছে। ছেলেটাকে কাল রাত থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের সকলেই খোঁজাখুঁজি করছিল। কিন্তু কোথাও ওর দেখা পাওয়া যায়নি। এদিন দু’টো বাচ্চা সকালে জমিতে ওর দেহটি দেখতে পাওয়া। আমাদের মনে হচ্ছে ওকে অন্য কোথাও খুন করে এই জমিতে এনে ফেলে রাখা হয়েছে।”
কিন্তু কেন ওই যুবককে আচমকা মেরে ফেলা হল, কারাই বা খুন করল তা নিয়ে ধন্দে এলাকার লোকজন। কামিরুল বলছেন, “কোনওদিন কারও সঙ্গে ওর শত্রুতা ছিল বলেও তো শুনিনি। সবার সঙ্গেই ওঠাবসা করত। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক ছিল। কী থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।”
