Minor Abused: ডিম কিনে বাড়ি ফেরার সময় পেঁপে ক্ষেতে ‘গণধর্ষণ’ নাবালিকাকে
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি দোকানে ডিন কিনতে গিয়েছিল। ওই নাবালিকা যখন বাড়ি যাচ্ছিল সেই সময় তিন দুষ্কৃতী রাস্তায় তার মুখ চেপে ধরে।
দেগঙ্গা: বাগদা গণধর্ষণ কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দেগঙ্গার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গণধর্ষণের পর নাবালিকাকে ঝোপের মধ্যে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকার মানুষ নাবালিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় নির্যাতিতার বাবাকে। এর পর কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নাবালিকার বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন দেগঙ্গা থানায়।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ি হাবরা থানার অন্তরর্গত একটি গ্রামে। থানা আলাদা হলেও যেখানে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার পাশের গ্রামেই নির্যাতিতার বাড়ি। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি দোকানে ডিন কিনতে গিয়েছিল। ওই নাবালিকা যখন বাড়ি যাচ্ছিল সেই সময় তিন দুষ্কৃতী রাস্তায় তার মুখ চেপে ধরে। তার পর বাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। সেখানকার একটি পেঁপে খেতের মধ্যে ওই নাবালিকাকে দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। অন্ধকারে নাবালিকাকে দেখতে পেয়ে তাকর পরিবারকে খবর দেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা এসে নাবালিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তা পর দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বারাসাত জেলা হাসপাতালে নির্যাতিতাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। দেগঙ্গা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে বলে জানিয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।