Basirhat Drinking Water: আর্সেনিকের বিষজল আর নয়, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বসিরহাটের গ্রামে ঢুকল পরিশ্রুত পানীয় জল

বসিরহাট: গ্রাম পঞ্চায়েত ও জার্মান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষরা পেল বিনা পয়সায় আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল। প্রতিদিন ১২ হাজার লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল পাবেন গ্রামবাসীরা। বসিরহাটে বাদুড়িয়া ব্লকের চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল পানের অযোগ্য। বহুদিন ধরেই এই সমস্যা। স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই এই পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত রসুই, পারুইপাড়া, চাতরা সহ […]

Basirhat Drinking Water: আর্সেনিকের বিষজল আর নয়, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বসিরহাটের গ্রামে ঢুকল পরিশ্রুত পানীয় জল
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2023 | 4:52 PM

বসিরহাট: গ্রাম পঞ্চায়েত ও জার্মান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষরা পেল বিনা পয়সায় আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল। প্রতিদিন ১২ হাজার লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল পাবেন গ্রামবাসীরা। বসিরহাটে বাদুড়িয়া ব্লকের চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল পানের অযোগ্য। বহুদিন ধরেই এই সমস্যা। স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই এই পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত রসুই, পারুইপাড়া, চাতরা সহ একাধিক গ্রাম আর্সেনিক প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এখানে মাটির তলা থেকে যে জল বেরোয়, তা পান করার অযোগ্য। এই তিনটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। আর্সেনিকের প্রভাবে অতীতে এই এলাকায় ব্ল্যাকফুট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এবার সেই সব অন্ধকার দিন পেরিয়ে এসে আর্সেনিকমুক্ত পরিশ্রুত পানীয় জল পাবেন গ্রামবাসীরা।

অতীতে একাধিকবার খননের ফলে প্রাপ্ত ভৌম জলের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিশুদ্ধ জল পাওয়া সম্ভব হয়নি। গ্রামবাসীরা একপ্রকার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই আর্সেনিকযুক্ত পানীয় জল সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এরপর চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই গ্রামগুলিতে এক জার্মান সংস্থাকে দিয়ে সার্ভে করানো হয়েছিল। তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে যৌথভাবে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এবার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পেলেন এই গ্রামগুলির বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সেই বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুই গ্রামে।

সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় এই আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি। প্রথমে একটি জায়গায় দিনে ১২০০০ লিটার জল সংরক্ষণ করা হবে। তারপর সেই জল এই তিনটি গ্রামের আটটি পয়েন্টের মাধ্যমে জলের পাইপ গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে। এদিন জার্মান সংস্থার আধিকারিক, চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসলাম উদ্দিন, পঞ্চায়েতের একাধিক সরকারি কর্মী ও এলাকার শিক্ষক সহ একাধিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময়। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর পরিশ্রুত পানীয় জল পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরাও। আবেগাপ্লুত গ্রামবাসীরা বলছেন, ‘স্বাধীনতার পর এই প্রথম আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল আমরা পাচ্ছি।’ এই জলের সমস্যার কারণে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা এতদিন ধরে যে পেটের অসুখ ও চর্মরোগে ভুগছিল, সেই সমস্যা থেকেও এবার মুক্তি মিলবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন গ্রামবাসীরা।