Seikh Sahajahan: আর্জি শুনল না আদালত, CBI-এর ‘খাঁচায়’ আর ক’দিন থাকতে হবে শাহজাহানকে?
Seikh Sahajahan: রবিবারও শাহজাহান মামলার শুনানি হয় বন্ধ এজলাসে। সংবাদ মাধ্যমকে আটকে দেওয়া হয় কোর্টরুমের বাইরে। আদালত সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন বিচারকের কাছে। পাল্টা নিজেদের হেফাজতে তাঁকে পেতে চান গোয়েন্দারা।
বসিরহাট: কলকাতা থেকে বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া হল শেখ শাহজাহানকে। তাঁকে রবিবার তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। এ দিন শুনানির সময় শাহজাহানের আইনজীবীর তাঁর জামিনের আবেদন করেন বিচারকের কাছে। অপরদিকে, নিজেদের হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই। বিচারক এজেন্সির আবেদন মঞ্জুর করেন।
রবিবারও শাহজাহান মামলার শুনানি হয় বন্ধ এজলাসে। সংবাদ মাধ্যমকে আটকে দেওয়া হয় কোর্টরুমের বাইরে। আদালত সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন বিচারকের কাছে। পাল্টা নিজেদের হেফাজতে তাঁকে পেতে চান গোয়েন্দারা।
এ দিন, আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, শাহজাহানের মোবাইল ফোন দু’টি এখনও মেলেনি, তদন্তের স্বার্থে প্রমাণ জোগাড় করা প্রয়োজন। এরপরই বিচারকের কাছে শাহজাহানের চারদিনের হেফাজত প্রার্থনা করেন এজেন্সির আইনজীবী। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। শাহজাহানের আইনজীবী রাজা ভৌমিক বলেন, “আজ শুনানি ছিল। ওরা ৮ এবং ৯ দুটোতেই পিসি চেয়েছিল। যেহেতু আজ কেস নম্বর ন’য়ের শুনানি ছিল তাই জন্য চারদিনের হেফাজত দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ ফের শুনানি।”
প্রসঙ্গত, হেফাজতে পাওয়ার পর থেকেই সিবিআই কার্যত টানা জেরা করছে শেখ শাহজাহানকে। তবে তাঁকে হেফাজতে পেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের দু’টি মোবাইল ফোনের। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ফোন ব্যবহার করেই গত ৫ জানুয়ারি তিন মিনিটে ২৮ বার কল করেছিলেন শাহজাহান। আপাতত এই ফোন দু’টি পেতেই এখন মরিয়া সিবিআই। গোয়েন্দাদের অনুমান, রেশন দূর্নীতি ছাড়াও আলাদা কোনও তথ্য থাকতে পারে ফোন দুটিতে। তাই শাহজাহানের এই ফোনগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।