Barasat SFI-DYFI: বারাসতে বাম ছাত্র-যুবদের জেলা পরিষদ অভিযানে ধুন্ধুমার, ভাঙল লোহার গেট
SFI-DYFI: গেটের লোহার রড ভেঙে, বেঁকিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। সবমিলিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায় বাম ছাত্র-যুবদের এই কর্মসূচি ঘিরে।
বারাসত: নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বারাসতে (Barasat) এক মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই (SFI-DYFI)। পুলিশ মিছিলে বাধা দিতেই তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের তরফে মিছিল আটকানোর জন্য ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন ডিওয়াইএফআই কর্মী ও সমর্থকরা। নিমেষের মধ্যে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, এদিন জেলা পরিষদে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের। কিন্তু ঘোষিত কর্মসূচি আটকানোর জন্য জেলা পরিষদের অফিসের থেকে কিছু আগে পুলিশের তরফে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। কেন পুলিশ ব্যারিকেড করেছে, তা নিয়েই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তির পর ব্যারিকেড ভেঙে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মী ও সমর্থকরা জেলা পরিষদের মূল গেটের সামনে পৌঁছে যান। জেলা পরিষদের লোহার গেটের উপর উঠে পড়েন তাঁরা। গেটের লোহার রড ভেঙে, বেঁকিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। সবমিলিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায় বাম ছাত্র-যুবদের এই কর্মসূচি ঘিরে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, কীভাবে এত পুলিশ মোতায়েন থাকার পরেও লোহার গেট ভেঙে, বেঁকিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লেন তাঁরা? তাহলে কি পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল না? জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবশ্য জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
জেলা পরিষদ চত্বরের ভিতরেও হুলুস্থূল কাণ্ডের দৃশ্য স্পষ্ট। জেলা পরিষদ চত্বরে বেশ কয়েকটি টবও ভেঙে গিয়েছে। আন্দোলনকারী বলছেন, ‘সহজপাঠে পড়েছি, মঙ্গলবার জঙ্গল সাফ করার দিন। আজ তৃণমূলের যে দুর্নীতি জমে রয়েছে জেলা পরিষদে, আমরা তা সাফ করতে এসেছিলেন। পুলিশকে আমরা আগেও বলেছিলাম, আপনারা পারবেন না আমাদের সঙ্গে। তুমসে না হো পায়েগা। ওরা কথা শোনেনি, তিন-চারটে ব্যারিকেড করল। ব্যারিকেড না করলে হয়ত জেলা পরিষদের গেট ভাঙত না। মানুষের চাপে জেলা পরিষদের গেটটা ভাঙল।’