Shantanu Thakur: স্টেশনের অবস্থা দেখে রেলকর্মীদেরই ধমক দিলেন শান্তনু ঠাকুর
Shantanu Thakur at Rail Station: শান্তনু ঠাকুর আসার আগে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিলা দাস বৈরাগী। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ স্টেশন সংস্কারের নামে ধ্বংসস্তূপ তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের দাবি, পুজোয় বহু মানুষ বনগাঁয় ঠাকুর দেখতে আসবেন, অসুবিধায় পড়বেন তাঁরা।

বনগাঁ: পুজোর মুখে রেল স্টেশনের অবস্থা দেখে বিরক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বনগাঁ স্টেশনে গিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাঁটা হাতে স্টেশন পরিষ্কার করতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে। কিন্তু স্টেশনের অবস্থা দেখে এদিন মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। রেল কর্মীকেই ধমক দেন শান্তনু ঠাকুর।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ স্টেশনে ‘সেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কর্মসূচি শুরুর মুখে রেলকর্মীদের ধমক দিতে দেখা যায় শান্তনু ঠাকুরকে। শান্তনু ঠাকুরের দাবি, চরম অব্যবস্থা রয়েছে দেখেই তিনি ধমক দিয়েছেন। শান্তনু বলেন, ‘একটা মিস ম্যানেজমেন্ট হয়েছে সেটাই বলেছি।’
অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর আসার আগে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিলা দাস বৈরাগী। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ স্টেশন সংস্কারের নামে ধ্বংসস্তূপ তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের দাবি, পুজোয় বহু মানুষ বনগাঁয় ঠাকুর দেখতে আসবেন, অসুবিধায় পড়বেন তাঁরা। পাশাপাশি রেল কলোনি এলাকার মানুষের জন্য আন্ডারপাস তৈরির দাবি পূরণ হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁরা বলছেন, “শান্তনু ঠাকুর এসে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কি ঝাঁট দিচ্ছেন? ঝাঁট দেওয়ার জন্য পুরসভার সাফাই কর্মীরা রয়েছে। ওঁর যেটা কাজ সেটা করুক।”
এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘স্টেশনের স্কেলেটর কি বনগাঁ পুরসভা করে দিয়েছে? চোখে কালো চশমা পড়ে থাকলে দেখা যায় না।’
