Subodh Singh: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দাপুটে কোনও নেতাই কি তবে? সুবোধ সিংয়ের বয়ানে মণীশ শুক্লা খুনে আরও জোরাল রাজনৈতিক যোগ
Subodh Singh: ২০০৭ সাল থেকে প্রায় দেড় বছর ঘোলার কাছে রামচন্দ্রপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলেন সুবোধ সিং। সেই সূত্রে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে বালিতেও ছিলেন সুবোধ। মণীশ শুক্লা খুনে উঠে এসেছে সুবোধ ঘনিষ্ঠ রওশনেরও নাম উঠে এসেছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে আরও জোরাল রাজনৈতিক যোগ। বিহার থেকে ধৃত গ্যাঙ স্টার সুবোধ সিংকে ম্যারাথন জেরা করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, সুবোধ সিংকে ম্যারাথন জেরা করা হয়, এ রাজ্যের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে। তখনই উঠে আসে মণীশ শুক্লা খুনের প্রসঙ্গও। মণীশ শুক্লা খুনের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিহারের এই গ্যাঙ স্টার। পুলিশ জানিয়েছে, মণীশ জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনিই মণীশ শুক্লা খুনে সুপারি নিয়েছিলেন। প্রশ্ন ওঠে, সুপারি কে দিয়েছিলেন? সূত্রের খবর, সেই জায়গাতেই বারবার বয়ান বদল করছেন সুবোধ। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দাপুটে কোনও রাজনৈতিক নেতাই তাঁকে সুপারি দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, মণীশ শুক্লা খুনে তাঁর বাবা দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
জেরায় পুলিশ আরও জানতে পারে. ২০০৭ সাল থেকে প্রায় দেড় বছর ঘোলার কাছে রামচন্দ্রপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলেন সুবোধ সিং। সেই সূত্রে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে বালিতেও ছিলেন সুবোধ। মণীশ শুক্লা খুনে উঠে এসেছে সুবোধ ঘনিষ্ঠ রওশনেরও নাম উঠে এসেছে। মণীশকে খুনের পরে বাইক ও আগ্নেয়াস্ত্র কোথায়, কী ভাবে ফেলতে হবে এবং কোন পথ দিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে, তার ‘ব্লু-প্রিন্ট’ রওশনদের কে বা কারা ছকে দিয়েছিল, সেটাও তার থেকে জানার চেষ্টা করতে পারে পুলিশ।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর টিটাগড়ে মণীশ শুক্লাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সুবোধ সিং গ্রেফতারের পর সেই মামলায় নতুন করে মাত্রা যোগ হল।