Vote: ‘রাস্তা করে দিন, ভোট না হয় পরেরবার নেবেন’, মমতাবালা গ্রাম থেকে বেরোতেই বললেন মহিলারা
Gaighata: গ্রামজুড়ে পোস্টার দিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে রাস্তা হবে বলে ফলক বসানো হয় রামনগর গ্রামপঞ্চায়েতে। টাকাও বরাদ্দ হয়। কিন্তু রাস্তা আর পাননি তিন চারটি গ্রামের মানুষ। এবার পোস্টারেই লিখে দিয়েছেন, 'আগে রাস্তা, পরে ভোট।' গ্রামবাসীকে বোঝাতে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ময়দানে নামেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
উত্তর ২৪ পরগনা: ফলক বসিয়ে গিয়েছে, কিন্তু রাস্তা নেই! ভোটের আগে নেতারা এসে রাস্তা করার কথা বলেন, কিন্তু ভোট নিয়ে আর দেখা মেলে না। এই অভিযোগকে সামনে রেখে এবার গ্রামের লোকেরা ভোট দেবেন না বলে স্থির করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের রামনগর গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবেড়িয়া আগারপাড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
গ্রামজুড়ে পোস্টার দিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে রাস্তা হবে বলে ফলক বসানো হয় রামনগর গ্রামপঞ্চায়েতে। টাকাও বরাদ্দ হয়। কিন্তু রাস্তা আর পাননি তিন চারটি গ্রামের মানুষ। এবার পোস্টারেই লিখে দিয়েছেন, ‘আগে রাস্তা, পরে ভোট।’ গ্রামবাসীকে বোঝাতে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ময়দানে নামেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
মমতাবালা বলেন, গ্রামবাসীদের দাবি একেবারেই সঙ্গত। কেন এ রাস্তা হয়নি তা দেখা হবে। ভোটের পর রাস্তাও হবে। তাঁর কথায়, “ওনাদের ন্যায্য দাবি। ধন্যবাদ জানাই প্রতিবাদ করেছেন। কারণ ওনারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।” তবে গ্রামের বাসিন্দা কণিকা বিশ্বাসের বক্তব্য, “বাচ্চা স্কুলে যেতে পারে না, প্রসূতি মা ডেলিভারি করাতে হাসপাতালে যাবে কী, গাড়ি গ্রামে ঢুকতে চায় না। বাড়িতে সন্তানপ্রসব করাতে হয়েছে পর্যন্ত। কোথায় বসবাস করছি আমরা? পঞ্চায়েত সদস্যদের বলেও কাজ হয়নি। মমতাবালা ঠাকুর এসে বলছেন ভোটটা দাও, রাস্তা হবে। আমরা একটাই কথা বলেছি, এ ভোট না হয় দেবো না। এক বছরে রাস্তা করে দিন। পরের ভোটটা পাবেন।”
এ নিয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, গ্রামবাসীদের একটাই বলার ভোট বয়কট নয়, ভোট দুর্নীতির বিরুদ্ধে দিতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতায় এলে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা করে দেবো।”