Asansol news: ঝড়ের ‘অশনি সংকেত’, আসানসোলের নুনী ও গাড়ুই সংলগ্ন এলাকায় শুরু মাইকিং

Asansol: আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, যাতে গতবারের মতো বৃষ্টি না আসে। নিশ্চিতভাবে ওইরকম নাগাড়ে বৃষ্টি হলে যতই সংস্কার হোক, মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে যাবে।"

Asansol news: ঝড়ের 'অশনি সংকেত', আসানসোলের নুনী ও গাড়ুই সংলগ্ন এলাকায় শুরু মাইকিং
আসানসোলে শুরু হয়ে গিয়েছে মাইকিং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 10:13 PM

আসানসোল : ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। পশ্চিম বর্ধমান উপকূলীয় এলাকা থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও সবরকম সতর্কতা নিয়ে রাখছে আসানসোল পুরনিগম। বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে ঝড়ের সতর্কতায় মাইকিং শুরু হয়েছে উত্তর আসানসোল এলাকায়। বিশেষ করে নুনী ও গাড়ুই সংলগ্ন এলাকায় এই মাইকিং শুরু হয়। ফি বছর বর্ষায় বন্যায় ভেসে যায় আসানসোলের রেলপার এলাকা। বিশেষ করে গত বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর ডুবে যায় গোটা আসানসোল এলাকায়। জলের নীচে চলে যায় ঘাঘরবুড়ি মন্দির, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। এমনকী জি টি রোডও জলমগ্ন হয়ে যায়। বহু মানুষকে ঘর বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় উঁচু কোনও জায়গায়।

সেই সময় কেউ কমিউনিটি হল, কেউ আবার স্কুলবাড়িতে, যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন, আশ্রয় নিয়েছেন। এবার তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। ঝড়ের আশঙ্কা বাড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে সতর্কতামূলক মাইকিং। আসানসোল পুরনিগমে ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সময় থাকতেই নীচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে পুর প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, যাতে গতবারের মতো বৃষ্টি না আসে। নিশ্চিতভাবে ওইরকম নাগাড়ে বৃষ্টি হলে যতই সংস্কার হোক, মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে যাবে। আমরা মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিচ্ছি। মানুষ যাতে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকেন, সেই অনুরোধ করছি। কেউ কোনও অসুবিধায় পড়লে যাতে প্রশাসনকে জানান, সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে সাগরে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে অতি গভীর একটি নিম্নচাপ। রবিবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি। রবিবার বিকেলের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় পরিণত হবে অশনি। এরপর ১০ মে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছবে। তারপর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। এরপর এটি বাংলাদেশের দিকে এগোতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা উপকূলের দিকে বাঁক নেওয়ার পর শক্তিক্ষয় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।