Jitendra Tiwari Tweet: অমিত শাহর সফর শেষেই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির

Jitendra Tiwari Tweet: জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর টুইটে কীসের ইঙ্গিত দিয়েছেন? তাতে কি দলের অস্বস্তি বাড়ল?

Jitendra Tiwari Tweet: অমিত শাহর সফর শেষেই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির
জিতেন্দ্র তিওয়ারি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 4:16 PM

আসানসোল: সবে দু’দিনের বঙ্গ সফর সেরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। এক লাইনে তিনি লিখেছেন, “বাংলা জয় করতে হলে আগে আমাদের, বাংলার মানুষের মন জয় করতে হবে।” ইতিমধ্যেই এই টুইট নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল তৈরি হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির এ প্রসঙ্গে মত, “হ্যাঁ, আমরা বাংলা জয় করতে চাইছি। আর বাংলা জয় করতে গেলে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মন জয় করতে হবে। সেটাই বলেছি। চলুন আমরা সবাই চেষ্টা করি বাংলার মানুষের মন জয় করতে। এটায় বিতর্কের কিছু নেই। কোনও রাজ্যে আপনি যদি ক্ষমতায় আসতে চান, সেখানকার মানুষের কাছাকাছি আগে আপনাকে আসতে হবে।”

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের কাছে কার্যত ধূলিসাৎ। পাণ্ডবেশ্বরের এই প্রাক্তন বিধায়কের কেন্দ্রেই রেকর্ড ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে ৯৮ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেসময় জিতেন্দ্র লিখেছিলেন, “রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুযোগসুবিধা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল।” তখনও তাঁর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক শোরগোল। নিজের হার নিয়েও যুক্তি দিয়েছেন জিতেন্দ্র। তাঁর সোজাসাপটা বক্তব্য, “আমি তো নিজেও পারিনি। আমি যদি আমার এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মন জয় করতে পারতাম, তাহলে পরাজিত হতাম না। আগামী দিনে চেষ্টা করতে হবে, এখন থেকে নামতে হবে। আমাদের কাছে মানুষের কী প্রত্যাশা সেটা দেখতে হবে।”

জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর টুইটে কীসের ইঙ্গিত দিয়েছেন? তাতে কি দলের অস্বস্তি বাড়ল? এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল অবশ্য বলেছেন, “আমার মনে হয় না এই টুইটে বিজেপিকে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তিনি কি বিজেপির কাউকে ট্যাগ করেছেন? করেননি তো। তাহলে বিজেপিকে ইঙ্গিত দেওয়ার তো কোনও কথা নয়। উল্টে আমি বলব, তৃণমূলকে ইঙ্গিত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসন মুখ্যমন্ত্রী চালাচ্ছেন, সেটা বেশিদিন চলবে না।” এই নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।