Illegal construction: সরকারি জমিতেই অবৈধ নির্মাণ, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল পুরসভা
Asansol: এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন পুরসভার এই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আসানসোল: রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ আকছাড় ওঠে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তীর থাকে পুলিশ প্রশাসনের উপর কারণ সঠিক ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়না সেই কারণে। কিন্তু এইবার ছবিটা উল্টে গেল পুরো। আসানসোন পৌরনিগমের তরফে উদ্যোগ নিয়ে এবার ভেঙে দেওয়া হলো অবৈধ নির্মাণ।
গতকাল কুলটিতে জিটি রোডের পাশে এই অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা হয়। যার জেরে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। এদিকে, যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন পুরসভার এই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেইসময় যেহেতু পুলিশের উপস্থিতি ছিল সেই কারণে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বেগ পেতে হয়নি।
কুলটির রানিতলা সহ জিটি রোডের দুই পাশে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সরকারি নালা বুজিয়ে নির্মাণগুলি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আবার নির্মাণের পর সেই বাড়িগুলি অর্থের বিনিময় হাত বদল হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। পুরনিগমের কাছে রানিতলায় একটি বড় এলাকাজুড়ে এমন অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে এই খবর আসার পরই সেখানে পৌঁছে যান পুরো প্রশাসক বোর্ডের সদস্য কুলটির দায়িত্বে থাকা চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। তিনি ইঞ্জিনিয়ার এবং পুলিশদের সঙ্গে নিয়ে ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেন। সেই সময় সোমা পাল নামে এক মহিলা সহ কয়েকজন এসে সেখানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সোমাদেবী বলেন, “সবাই এইরকম রাস্তার পাশের জায়গা দখল করে ঘর বানিয়েছে, দোকান করছে। সবারটা ভাঙা হোক।” কিন্তু তাঁকে যে বারবার পুরনিগম থেকে এই নির্মাণকার্য বন্ধ করতে বলা হয়েছিল তা তিনি অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন পুরনিগম নোটিশ না দিয়েই ভাঙচুর শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে পুরপ্রশাসক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু বলেন,” কুলটিতে জিটি রোড এর পাশে সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে পুরনিগমের কাছে এই অভিযোগ এসেছিল। পুরনিগমের পক্ষ থেকে তাদের ওই কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তারা রাতের অন্ধকারে তা করা শুরু করে। এরপর দ্রুত পদক্ষেপ করে ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়। যেহেতু সরকারি জমিতে এই অবৈধভাবে নির্মাণ হচ্ছে তাই আলাদা করে নোটিশ দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। শুধু তাই নয় এইসব অবৈধ নির্মাণ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করাও হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ যেখানে-যেখানে পাব সেখানে সেখানেই এই রকম ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: Purulia: নেপথ্যে কি অন্য কিছু? মেয়ের মৃতদেহ সৎকার না করেই মাটিতে পুঁতলেন বাবা