AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durgapur Physical Assault: পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি, ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তাঁর সহপাঠী

গত শনিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, ওই পড়ুয়া তাঁর পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে আসে। মেয়েটিকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। চলে অকথ্য অত্যাচার। তারপর গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতার মোবাইল কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা।

Durgapur Physical Assault: পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি, ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তাঁর সহপাঠী
দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার ৬Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2025 | 9:33 PM
Share

দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। সেই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন পাঁচজন। এবার গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন নির্যাতিতার সহপাঠী। ইতিপূর্বেই আটক হয়েছিলেন অভিযুক্ত। তবে তাঁকে অফিশিয়ালি গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে মোট ছ’জন গ্রেফতার হলেন।

গত শনিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, ওই পড়ুয়া তাঁর পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে আসে। মেয়েটিকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। চলে অকথ্য অত্যাচার। তারপর গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতার মোবাইল কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ওই নির্যাতিতা। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নির্যাতিতার বন্ধুকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তবে নিগৃহীতার বাবা প্রথম থেকেই সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। এবং এফআইআর-এ তাঁর নাম লিখিতভাবে দায়ের করেছিলেন। এরপর এই ঘটনায় আটক করা হয় ওই সহপাঠীকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম থেকেই ওই যুবকের (নির্যাতিতার বন্ধু) কথায় অসঙ্গতি ছিল। পুলিশ কমিশনারও জানিয়েছিলেন, যে বন্ধুর ভূমিকা সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। এরপর বাকি পাঁচ অভিযুক্ত আর তরুণীর বক্তব্য খতিয়ে দেখার পর পুলিশ মনে করছে অভিযুক্ত সহপাঠীও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পরবর্তীতে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।

অপরদিকে পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরি বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সমস্ত আধিকারিকদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও প্রয়োজনে যাতে তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। নির্যাতিতা নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালেই পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারকেও পুলিশি প্রহরা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা তা নিতে চাননি। নির্যাতিতার পরিবারকে তদন্তের বিষয়ে সব তথ্য জানানো হয়েছে।” তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে দাবি করেন পুলিশ কমিশনার।