Mamata Banerjee: দুর্গাপুরের গণধর্ষণ-কাণ্ডে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস
Mamata Banerjee on Durgapur Case: কীভাবে ওত রাতে তরুণী নিজের সহপাঠীর সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে পা রাখলেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। পাশাপাশি, ওত গভীর রাতে জঙ্গলের মতো জায়গায় মেয়েদের বেরনো উচিত নয় বলেই মন্তব্য করলেন তিনি।

পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুর প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রবিবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে যাওয়ার পথেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। কীভাবে ওত রাতে তরুণী নিজের সহপাঠীর সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে পা রাখলেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। পাশাপাশি, ওত গভীর রাতে জঙ্গলের মতো জায়গায় মেয়েদের বেরনো উচিত নয় বলেই মন্তব্য করলেন তিনি।
এদিন তিনি বললেন, ‘এই ঘটনায় সত্যিই ভয়াবহ। আমি যত দূর শুনলাম, নির্যাতিতা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন, তা হলে দায়টা কার? রাত সাড়ে ১২টার সময় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে, এমন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় কীভাবে গেলেন তাঁরা? সংশ্লিষ্ট বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজটির এই নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। আর বিশেষ করে মেয়েদের বেশি রাতে বেরনো উচিত নয়। নিজেদের নিরাপত্তা তাঁদেরই সুনিশ্চিত করতে হবে।’
তাঁঁর সংযোজন, ‘বাংলার সরকার অপরাধ নিয়ে জিরো টলারেন্স। বিভিন্ন রাজ্যে ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসছেন। তাঁদের আমি অনুরোধ করব, রাতের দিকে না বেরতে। পুলিশ তো জানতে পারে না কে, কখন বেরিয়ে যাচ্ছে। আর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। পুলিশ তো বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বসে থাকবে না। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টা বেরিয়ে কোথাও যায়, আমি ঘটনাকে সমর্থন করছি না, এটা নিন্দনীয়। কিন্তু যারা হস্টেলে থাকে তাদের একটা সিস্টেম রয়েছে। আমি পুলিশকে বলেছি, কাউকে না ছাড়তে।’
দুর্গাপুরের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওড়িশার কথাও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে রাখা প্রয়োজন, ‘গণধর্ষণের’ শিকার হওয়া ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরেই এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর মুখে আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে উঠে এল ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যের কথাও। তিনি বললেন, ‘তিন সপ্তাহ আগের কথা, ওড়িশার সমুদ্র সৈকতে তিন জন মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু ওড়িশা সরকার সেই নিয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে? বাংলায় এই ধরনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।’
উল্লেখ্য, মেয়েদের রাতে বেরনোর প্রসঙ্গে মমতা মন্তব্য ঘিরে চড়েছে পারদ। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বললেন, ‘আমরা সর্বদা মেয়েদের সমান অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা কখনওই বলতে পারি না সন্ধ্যা হয়ে গেলে মেয়েরা তালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকবে। তারা কাজ করবে না। আজ আইটি সেক্টর, ডাক্তারির মতো একাধিক পেশার সঙ্গে যুক্ত মেয়েরা সময়ের ঘেরাটোপ মেনে কাজ করেন না। আর মুখ্যমন্ত্রী যদি এই ধরনের কথা বলে থাকেন, তা হলে আমি বলতে পারি, উনি ঠিক বলছেন না। আমি আমার রাজ্যের বেসরকারি কলেজের বাইরে জঙ্গলের দু’ধারে আলো দেব না, খাবারের ব্যবস্থা রাখব না। এগুলো নিজের গাফিলতি ঢাকার পদ্ধতি।’
