Durgapur: চাকা গড়াল না ২৫০-র বেশি মিনিবাসের, চলল না ২০০০ উপর অটো, শহরে চরম বিপাকে যাত্রীরা
Durgapur: জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫০-র বেশি মিনিবাস, আর ২০০০ এরও বেশি অটো রাস্তায় না নামায় সমস্যায় যাত্রীরা। তার জেরে অনেককেই পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। স্কুল-কলেজ, অফিস সবখানেই পৌঁছতে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা।

দুর্গাপুর: টোটোর দৌরাত্ম্যে থমকে পরিবহন ব্যবস্থা। সপ্তাহের প্রথম দিন রাস্তায় নেই মিনিবাস ও অটো। ভোগান্তিতে দুর্গাপুরের মানুষ। বস্তুত, এর আগে হুগলিতে টোটোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাস মালিক সংগঠন। আর এবার ঘটনাস্থল দুর্গাপুর।
জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫০-র বেশি মিনিবাস, আর ২০০০ এরও বেশি অটো রাস্তায় না নামায় সমস্যায় যাত্রীরা। তার জেরে অনেককেই পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। স্কুল-কলেজ, অফিস সবখানেই পৌঁছতে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। ক্ষুব্ধ মিনিবাস মালিক সঞ্জয় কর্মকারের অভিযোগ, দুই মাস আগে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তখন জানিয়েছিল সমাধান হবে। কিন্তু টোটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আগের মতোই। যাত্রী কমে গিয়ে বাস চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। জ্বালানির দাম বাড়ছে, ট্যাক্স বাড়ছে,খরচ বাড়ছে আর যাত্রী কমছে। এই অবস্থায় চালক, হেলপার, মালিক সকলেই যেন ক্ষতির মুখে পড়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, ” ” অপরদিকে, যাত্রী শর্মিষ্ঠা পাল বলেন, “খুব অসুবিধায় পড়েছি। আমরা তো চাকরি করি। এবার সেখানে গিয়েও জবাব দিতে হবে। কেই তো আর এই সব বুঝবে না।”
অটো মালিকদের অভিযোগ, সব কাগজপত্র বৈধ থাকার পরও তাঁরা কোণঠাসা। যে টোটোগুলোর লাইসেন্সই নেই, সেগুলোই রাস্তায় ছুটছে দাপিয়ে। প্রশাসন চুপ। তাই আজ গাড়ি বন্ধ করে প্রতিবাদ। চিন্ময় বিশ্বাস বলেন, “পরিষেবা বন্ধ অনেকদিনের ব্যাপার। এর জন্য বহুবার প্রশাসনকে বলেছি। যতবার গেছি খালি বলে সমাধান হবে। কিছুই হয় না।” অটো আর মিনিবাস সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের।

