Asansol Bi Election: জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, "পুরনির্বাচনে জেলাশাসকের নেতৃত্বে ভোট লুঠ করা হয়েছে। তাই জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে।"
আসানসোল : উপনির্বাচনের (Asansol Bi Election) আগে ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে আসানসোলের রাজনীতির বাতাবরণ। চড়ছে ভোটের পারদ। এরই মধ্যে চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। এবার পুলিশ ও জেলা শাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার জেলা সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা পাঁচ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, “পুরনির্বাচনে জেলাশাসকের নেতৃত্বে ভোট লুঠ করা হয়েছে। তাই জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে।” এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল, পুরুলিয়ার সাংসদ জোতির্ময় সিং মাহাতো ও কলকাতা পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেলাশাসকের পাশাপাশি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সদর) সহ একাধিক থানার ওসি ও পুলিশকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানান পর্যবেক্ষকদের কাছে। পাশাপাশি বিজেপির তরফে আসানসোল লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিসিটিভি ক্যামেরার মনিটরিং-এর দাবি করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমরা জেলাশাসকের অপসারণ চেয়েছি। কারণ তাঁর নেতৃত্বে আসানসোল পুরনির্বাচনে ভোট লুঠ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ডিসিপি (সদর) সহ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের একাংশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তারা, থাকলে অবাধ ভোট হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “কত কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা দাবি করেছি, নিয়ম মতো সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। পাশাপাশি সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। আমরা বলেছি রাজ্য পুলিশকে বুথের আশপাশে রাখা যাবে না। পর্যবেক্ষকরা আমাদের দাবি শুনে সব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “দিনকয়েক আগে আসানসোলের সার্কিট হাউসে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশের মধ্যে একটা কো-অর্ডিনেশন বৈঠক হয়। আমরা খবর পেয়েছি, সেই বৈঠকে পাশের জেলা বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার কয়েকটি থানার ওসিরা ছিলেন। আমাদের প্রশ্ন ওইসব জেলার সঙ্গে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে তাঁরা কেন এসেছেন? আমাদের আশঙ্কা, ওইসব অফিসারদের দিয়ে ভোট লুঠের পরিকল্পনা করেছে শাসকদল। এরজন্য সাতটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়েছে। হাজারের মতো টোটো রাখা হয়েছে। এইসব করে ভোটের আগে শাসক দল আসানসোলে গুন্ডা অন্য জায়গা থেকে আনা হবে।”
আরও পড়ুন : ED vs WB Police: ইডি অফিসারদের তলব করা যাবে না, রাজ্য পুলিশের নোটিসে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের