Kazi Nazrul University: ‘আরজি কর বানিয়ে দেব’, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে ধরে ‘দুষ্কৃতী’ তাণ্ডবের অভিযোগ
Kazi Nazrul University:খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য। ক্ষোভে ফেটে পড়়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েক অন্যান্য কর্মীরাও। উপাচার্যের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘আরজি কর বানিয়ে দেব’ বলেই লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল ওই দুষ্কতীরা।
আসানসোলঃ ‘আরজি কর বানিয়ে দেব’। এ ভাষাতেই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। এদিন ছিল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডেশন ডে। তারই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেবাশিসবাবু। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষিক কর্মীদের নিয়ে সেমিনার হলে চলছিল অনুষ্ঠান। অভিযোগ, সেখানেই একদল দুষ্কৃতী এসে অশান্তি পাকাতে শুরু করে। অশিক্ষক কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এক বিশেষ ভাবে সক্ষম অশিক্ষক মহিলা কর্মীকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য। ক্ষোভে ফেটে পড়়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েক অন্যান্য কর্মীরাও। উপাচার্যের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘আরজি কর বানিয়ে দেব’ বলেই লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল ওই দুষ্কতীরা। হুমকি দিতে দিতে স্লোগানও দিতে থাকে। কিন্তু, কী করে ‘বহিরাগতরা’ সেমিনার হলে ঢুকতে পারল সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। উপাচার্য বলছেন, “দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের কারণে ২৯ জুলাই থেকে আমি বাড়ি থেকে কাজ করছিলাম। আজ প্রতিষ্ঠা দিবস বলে এসেছিলাম। কিন্তু, আমি যখন কথা বলতে শুরু করে প্রায় ৩০ জন ভিতরে ঢুকে আমাকে শাসাতে শুরু করে। অশিক্ষক কর্মীরা তখন ওদের বাধা দেয়। বাধা পেতেই অশিক্ষক কর্মীদের মারধর করা হয়। মহিলাদের গায়ে হাত দেয়। যখন এ কাজ ওরা করছে তখন ওদের মুখে জয় বাংলা, আরজি কর বানিয়ে দেব, আরজি কর বানিয়ে দেব বলে স্লোগানও শুনি।”
ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর গিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলছেন, “সেমিনার হলে কোনও বহিরাগত নয়, পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিল। যা বলা হচ্ছে সবই মিথ্যা অভিযোগ।” তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরাই বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আরজি করের নাম নিয়ে কোনও স্লোগান দেওয়া হয়নি বলেও দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকার হিসাব চাইছি। সেটা দিতে পারছে না বলে এসব বলছে। ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।”