West Medinipur: এটা কি রাস্তা? ছবি দেখে চমকে উঠবেন যে কেউ…
Bad Condition of road: কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। সেকথা বর্ণনা করে সুভাষ দাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, "বাড়ি থেকে বেরনোই যায় না। বেরোতে গেলে জুতো হাতে বেরোতে হয়। দেড় কিলোমিটার রাস্তায় এরকম হাল। কেউ অসুস্থ হলে দোলায় করে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। ভোটের সময় নানা প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। ভোট শেষ হলেই প্রতিশ্রুতি শেষ।"

পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামে ঢোকার প্রধান রাস্তা। কিন্তু, সেই রাস্তার হাল দেখলে প্রথমেই চমকে উঠবেন বাইরে থেকে আসা যে কেউ। জুতো পায়ে হাঁটা দায়। জুতো হাতেই হাঁটতে হবে। গাড়ি ঢোকা অসম্ভব। তাই, কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়ায় করে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্লকের সরকি সমাট গ্রামের।
পড়শি রাজ্য ওড়িশা লাগোয়া মোহনপুর ব্লক। আর এই মোহনপুর ব্লকের সাউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরকি সমাট গ্রামের রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা চোখে না দেখলে বোঝানো সম্ভব নয়। এই এলাকায় প্রায় আড়াইশো পরিবারের বাস। সবমিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ থাকেন গ্রামে। আর তাঁদের যাতায়াত করতে হয় জুতো হাতে।
গ্রামের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁকে দোলায় করে গ্রামের বাইরে নিয়ে আসতে হয়। গ্রামবাসীরা বলছেন, কোনওদিনই রাস্তা মেরামত করা হয়নি। ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতারা আসেন। প্রতিশ্রুতি দেন। আবার ভোট শেষ হলেই ভুলে যান গ্রামের কথা।

সবিতা সরেন নামে স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, “আমাদের রাস্তা সবদিন এরকমই থাকে। আমরা জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” সোনিয়া সরেন নামে আর একজন বলেন, “ভোটের সময় নেতারা এলে তাঁদের বলি। তখন তাঁরা বলেন, হয়ে যাবে। তারপর আর হয়নি। এভাবেই তো সবাই যাতায়াত করি।”
কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। সেকথা বর্ণনা করে সুভাষ দাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, “বাড়ি থেকে বেরনোই যায় না। বেরোতে গেলে জুতো হাতে বেরোতে হয়। দেড় কিলোমিটার রাস্তায় এরকম হাল। কেউ অসুস্থ হলে দোলায় করে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। ভোটের সময় নানা প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। ভোট শেষ হলেই প্রতিশ্রুতি শেষ।” প্রশাসন এই নিয়ে কেন উদাসীন, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
