Court Order: কচুবনে নিয়ে গিয়ে ১২ বছরের মেয়েটার সঙ্গে যা তা করেছিল, এক বছরের মধ্যে চরম পরিণতি পাড়ার দাদুর
Court Order: বাড়িতে যাতে ঘটনার কথা কাউকে না বলে সে জন্য নাবালিকাকে হুমকিও দেওয়া হয়। বললেই মা-বাবা মেরে ফেলার ভয়ও দেখানো হয়। সেই ভয়েই প্রথমে চুপ ছিল ওই নাবালিকা। শেষে ঘটনার তিন থেকে চারদিন পরে বাড়ির সকলকে ঘটনার কথা খুলে বলে।
মেদিনীপুর: ১২ বছরের মেয়েটাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে কচু বনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল পাড়ার দাদু। সেখানেই চলেছিল অকথ্য নির্যাতন, লাগাতার ধর্ষণ। এই ঘটনা চাউর হতেই গত বছর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল পিংলায়। অবশেষে এই মামলায় রায় শোনাল আদালত। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিলেন মেদিনীপুর পকসো আদালতের বিচারক। একইসঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
১২ বছরের এক নাবালিকাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কচুবনে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করল মেদিনীপুর পকসো আদালত। সোমবার অভিযুক্ত শেখ মজুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক আশুতোষ সরকার। ২০২৩ সালের ৩১ মে পিংলা থানা এলাকায় ঘটেছিল ওই ঘটনা। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে পেন কিনতে গিয়েছিল ১২ বছরের ওই নাবালিকা। কিন্তু, রাস্তাতেই তাকে পাকড়াও করে বছর ষাটের শেখ মজু। চপ মুড়ি কিনে দেবে বলে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায়।
এই খবরটিও পড়ুন
অভিযোগ, কিছু সময়ের মধ্যেই এলাকার একটি কচুবনে নাবালিকাকে নিয়ে চলে আসেন তিনি। সেখানেই লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকেন। এমনকী বাড়িতে যাতে ঘটনার কথা কাউকে না বলে সে জন্য নাবালিকাকে হুমকিও দেওয়া হয়। বললেই মা-বাবা মেরে ফেলার ভয়ও দেখানো হয়। সেই ভয়েই প্রথমে চুপ ছিল ওই নাবালিকা। শেষে ঘটনার তিন থেকে চারদিন পরে বাড়ির সকলকে ঘটনার কথা খুলে বলে। ঘটনা জানা মাত্রই ৮ জুন পিংলা থানা এলাকায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার বাড়ির লোকজন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই চলছিল মামলা।