Medinipur: কোটিপতি! এক চিলতে ঘর, চায়ের দোকান, ভাত-আলু সেদ্ধর সংসারের রাতারাতি ভাগ্য বদলে দিল লটারির টিকিট

Pingla: পিংলা রাজ্য সড়কের ধারে একটি অস্থায়ী ছাউনি করে চায়ের দোকান চালান নাথু রানা ও তাঁর স্ত্রী কমলা রানা।

Medinipur: কোটিপতি! এক চিলতে ঘর, চায়ের দোকান, ভাত-আলু সেদ্ধর সংসারের রাতারাতি ভাগ্য বদলে দিল লটারির টিকিট
রানা দম্পতি লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 1:25 PM

মেদিনীপুর: ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হলে কী না হয়। রাতারাতি বদলে যায় জীবনের গল্পটাই। ঠিক যেমন হয়েছে পিংলার (Pingla) রানা-দম্পতির। প্রৌঢ় দম্পতি মিলে একটা চায়ের দোকান চালান। পাশেই ছোট্ট ঘুপচি মতো জায়গা করে সাজানো থাকে লটারির পসরা। অন্যের ভাগ্য বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। কিন্তু পরের ভাগ্য বদলের ইচ্ছা যে এ ভাবে তাঁদের হাতের রেখা বদলে দেবে তা কে জানত! সামান্য ‘চাওয়ালা’ থেকে এখন তাঁরা কোটিপতি (Crorepati)।

পিংলা রাজ্য সড়কের ধারে একটি অস্থায়ী ছাউনি করে চায়ের দোকান চালান নাথু রানা ও তাঁর স্ত্রী কমলা রানা। এটাই দোকান, এটাই আবার তাঁদের বাসস্থানও। সেটাও আবার ভাড়ায়। নিজের বলতে কিছুই নেই। দিনভর দোকান চালান, রাতটুকু কোনওমতে মাথা গুঁজে কাটিয়ে দিলেই আবারও ভোর! দোকানে চা, পান, বিড়ি, বিস্কুট-টুকটাক পথচারীদের যা কিছু চাই, রাখেন রানা-দম্পতি। সঙ্গে বিক্রি করেন লটারির টিকিট। সেই টিকিটই বদলে দিল ভাগ্য। কমলাদেবীর কথায়, যা হয়েছে ঠাকুরের দয়ায়। তাই লটারি টিকিটের টাকা হাতে পেয়ে সবার আগে একটা মন্দির বানাতে চান তিনি। তার পর নিজস্ব বাড়ি।

নাথু রানা বলেন, “কত লড়াই করে যে বেঁচে আছি সে কথা বলে বোঝানো যাবে না। একটা দোকান করেছি কত কষ্ট করে। কত ঝামেলা, কত গন্ডগোল। এদিকে তেমন বেচাকেনাও নেই। ঘর ভাড়া দিয়ে থাকা। অনেক সময় এমন হচ্ছে পেটে টান পড়ছে। এমনও হয়েছে ভাড়ার পয়সা দিতে পারিনি। আমার স্ত্রী ভাল ভাবে হাঁটতে পারে না। ওকেও সব সময় দেখে রাখতে হয়। আমি ওর চিকিৎসা করাব, নাকি দোকান চালাব, নাকি খাওয়া-পরা হবে, ভাড়া দেব কিছুই জানি না।”

চার বছর ধরে এই দোকান চালান নাথু। কিন্তু লটারির ব্যবসাতে আসাটা একটা কাকতালীয় বলছিলেন তিনি। নাথু রানার কথায়, “এখানে আমার দোকানের ধারে একটা লোক লটারির ব্যবসা করত। সে চলে গেল। ওরও ভাল মতো বিক্রি হয় না। তখন বউই বলেছিল, এখানে যে লটারির টিকিট বিক্রি হয়, তা তো সকলেই জানে। বেকার কেন একটা চলতি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তুমি চায়ের দোকানের সঙ্গে সঙ্গে লটারির টিকিটও রাখ। একশো দু’শো টিকিট এনে ব্যবসা করো। যেটুকু লাভ হয়। সেখান থেকেই আমি নিজেই লটারি বিক্রি শুরু করি। একশো দেড়শো মতো টিকিট এনে বিক্রি করি। বছর তিন হল লটারির টিকিট বিক্রি করি। আলু ভাত লঙ্কা দিয়ে খেয়েও দিন কাটিয়েছি। আমার যে এমন কোটি টাকা ভাগ্যে আছে ভাবতেই পারছি না।”

কমলাদেবী বলেন, “করোনা, লকডাউন ব্যবসা একেবারে বন্ধ হতে বসেছিল। যে টুকু সঞ্চয় করেছিলাম সব শেষ। খুব কষ্ট করে দোকানটা চালু করলাম আবার। এখন টুকটাক চলছে দোকান। এর মধ্যে বরের থেকে লটারির টিকিট নিয়ে এক কোটি টাকাও পেলাম।” এখন কমলা রানার পরিকল্পনা, একটা মন্দির প্রথমে তৈরি করবেন। তার পর ভাড়ার দোকান-ঠাঁই ছেড়ে নিজের একটা ঘর বানাবেন। সঙ্গে নিজের দোকানও।

আরও পড়ুন: Big News: পুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের! এবারও মণ্ডপগুলিতে ‘নো এন্ট্রি’ দর্শকের