Ghatal:পুজোর মুখে ফের জলবন্দি ঘাটাল, হাঁটুজলে দাঁড়িয়েই পরিস্থিতি পর্যালোচনা মহকুমা শাসকের

West Medinipur: ঘাটাল মহকুমা শাসক নিজেও হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।

Ghatal:পুজোর মুখে ফের জলবন্দি ঘাটাল, হাঁটুজলে দাঁড়িয়েই পরিস্থিতি পর্যালোচনা মহকুমা শাসকের
জলে নেমে এলাকা খতিয়ে দেখছেন মহকুমা শাসক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 4:23 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: দক্ষিণবঙ্গের অতিবর্ষণের জেরে ইতিমধ্যেই প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তৃর্ণ এলাকা। নিম্নচাপের বৃষ্টি থামলেও ডিভিসির ছাড়া জলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিলাবতী, কেঠিয়া, ঝুমির মত নদীগুলির জল বিপদসীমার উপরে বইতে শুরু করেছে। ফলে বেলা বাড়তেই সেই জল নদী পাড় ছাপিয়ে ঢুকতে শুরু করে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুরের মত নীচু এলাকাগুলিতে।

প্লাবিত এলাকাগুলির বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় সারাদিনই সক্রিয় থেকেছে প্রশাসন।

ঘাটাল মহকুমা শাসক নিজেও হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাসও দেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও কাজে গতি আনার নির্দেশ দেন তিনি।

প্রশাসন সূত্রে খবর, এক টানা বৃষ্টির ফলে মাটির বাঁধন আলগা হয়ে প্রথম দিনই চন্দ্রকোনা ও ঘাটাল এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। জলের স্রোত আরও বাড়লে চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও মনোহরপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর বাঁধ নতুন করে ভাঙতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে এলাকার মানুষজন। তাই এদিন নদী বাঁধ বাঁচাতে গ্রামের মানুষই মাটি দিয়ে বাঁধ উঁচু করার কাজ শুরু করেন। কারণ চলতি বছর জুন জুলাইয়ের পর ফের ঘাটাল ব্লক ও ঘাটাল পৌর এলাকা সহ দাসপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত জলের গ্রাসে চলে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আরও সঙ্গীন করে তুলেছে।

অর্থাৎ, পুজোর আগে যে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি এলাকাবাসীর পিছু ছাড়বে না তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা। একইভাবে পুজো প্যান্ডেলগুলির অবস্থাও প্রায় একই। যার যেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে মন্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কাজ। শারোদত্সবে মাত্র দশ দিন আগে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মত দুশ্চিন্তায় পুজো উদ্যোগতরাও। এদিকে, এদিন সকাল থেকেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় থেকেছে প্রশাসন।

ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন। বানভাসী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দেন। বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। ফ্লাড সেন্টরগুলি সক্রিয় রয়েছে। তাই ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেখানে।

উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টি আর ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার বেশকিছু অংশ প্লাবিত। ঘাটাল মহকুমার পাশাপাশি হুগলির একাধিক এলাকা, হাওড়ার উদয়নারায়নপুর, আমতায় নতুন করে বানভাসী। ক্ষতিগ্রস্থ বহু মানুষ। প্রশাসনের তরফে সর্বত্রই ফ্লাড সেন্টরে প্লাবিত এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাদের জন্য খাবার ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: North Bengal Train: ২-৭ অক্টোবর বাতিল উত্তরবঙ্গগামী একাধিক ট্রেন