Ghatal: আহিরীটোলার পর এবার ঘাটাল, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত একটি দোতলা বাড়ি
House Collapsed: সেসময় বাড়ির ভিতর কেউ ছিলনা। তাই বড়সড় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি।
ঘাটাল: দক্ষিণ বঙ্গের একের পর এক জেলা থেকে আসছে বানভাসি মানুষের খবর। কোথাও নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। কোথাও ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তা।
গত দু’দিনের বৃষ্টিতে বাঙলার বিভিন্ন জেলার ছবিটা প্রায় এক। এরই মধ্যে ঘাটাল থেকে এল বাড়ি ভাঙার খবর। হুড়মুড়িয়ে একটি দু’তোলা বাড়ি ভেঙে পড়ল নদীগর্ভে।
জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির মালিকের নাম রতন মণ্ডল। তার দোকানের লাগোয়া আরও একাধিক দোকান বাড়ি রয়েছে। আজ সকালে ঝুমি নদীর জল উপচে দোকান লাগোয়া রাস্তায় ঢুকে পড়ে । আর তার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। জলে তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাকা বাড়িটি । যদিও সেসময় বাড়ির ভিতর কেউ ছিলনা। তাই বড়সড় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে শহর কলকাতায়ও বাড়ি ভাঙার ঘটনা উঠে এসেছিল। গতকালও বড়বাজারে হেলে পড়ে একটি বাড়ি। বড়বাজার এলাকার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০৫ নম্বর কর্টন স্ট্রিটের বাড়িটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দোতলা বাড়িটি পাশের বাড়ির ওপর হেলে পড়েছে। তবে ওই বাড়ির ভিতরে কেউ আটকে আছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। বাড়িটিতে একাধিক পরিবার ভাড়ায় থাকে। সেই সব পরিবারকে বের করে আনার চেষ্টা চলায় তারা।
দু’দিন আগে কলকাতার আহিরীটোলায় বাড়ি ভেঙে বিপর্যয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন বছরের শিশু-সহ ২। মৃত্যু হয় ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ারও। প্রায় আট ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ শেষ হয়। চার জন মূলত একেবারে ভিতরের দিকে আটকে পড়েছিল। উদ্ধার হওয়া দুজনকে আরজিকর বাকি দুজনকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গঙ্গা ঘড়াই নামে ন’মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টা ব্যর্থ হয় । ইটের পাজর, ধ্বংসস্তূপের বাইরে দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন মা। তিনিও অন্তঃসত্ত্বা। আপ্রাণ লড়াই করছিলেন দমকল, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা।
ইটের পাজরের নীচে তখন চাপা পড়ে তিন বছরের ছোট্ট শিশু। সাত ঘণ্টার এক টানা লড়াইয়ে আহিরীটোলার ভেঙে পড়া দোতলার বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় সেই শিশু। দমকল কর্মীরা শিশুটিকে একটা বস্তায় শুইয়ে বাইরে নিয়ে আসেন।
তখনই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের। কিন্তু উদ্ধারকর্তারা প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি তখন। চাদরে পেঁচিয়ে বস্তার করে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সে। উদ্ধারের ধরন দেখে কিছুটা বিপদ আঁচ করতে পারছিলেন প্রতিবেশীরা। বুক ফাঁটা কান্নায় ভেঙে পড়েন মাও। তিনি যে তখনও বাইরে প্রতীক্ষারত। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিত্সকরা নিশ্চিত করেন মৃত্যুর খবর।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: সিপিএমের মতো আমরাও মানুষকে বোঝাতে পারিনি, তাই ক্ষমতায় নাই!