Dilip Ghosh: সিপিএমের মতো আমরাও মানুষকে বোঝাতে পারিনি, তাই ক্ষমতায় নাই!

Dilip Ghosh in Bidhan Nagar: 'আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি', এ রাজ্যে গত এক দশকে একাধিকবার সিপিএম (CPIM) নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে এই বাক্য। সেই বাক্যই এবার শোনা গেল বিজেপি (BJP)-র প্রাক্তন রাজ্য সবাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)- এর গলায়। এমনকী নিজেই সিপিএমের সঙ্গে তুলনা টানলেন বিজেপির! কোন প্রেক্ষিতে?

Dilip Ghosh: সিপিএমের মতো আমরাও মানুষকে বোঝাতে পারিনি, তাই ক্ষমতায় নাই!
বিধানসভা ভোটে কেন হার, ব্যাখ্যা দিলীপের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 6:16 PM

কলকাতা: ‘আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি’, এ রাজ্যে গত এক দশকে একাধিকবার সিপিএম (CPIM) নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে এই বাক্য। সেই বাক্যই এবার শোনা গেল বিজেপি (BJP)-র প্রাক্তন রাজ্য সবাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)- এর গলায়। এমনকী নিজেই সিপিএমের সঙ্গে তুলনা টানলেন বিজেপির! কোন প্রেক্ষিতে?

শুক্রবার বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সংবর্ধনা জানাতে বিধাননগরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক থেকে তাবড় নেতারা। সেখানেই একুশের ভোটে তাঁদের হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে শোনা যায় দিলীপ ঘোষকে। তাঁর কথায়, “তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, তার দায় আমাদের। আমরা সিপিএমের মতো মানুষকে বোঝাতে পারিনি”।

দিলীপবাবুর কথায়, “টিএমসি যদি সরকারে আসে, সিপিএমের যেমন ব্যর্থতা আছে, তেমনি আমাদেরও আছে। আমরা মানুষকে সেই বিশ্বাস দিতে পারিনি যে, আমরা সরকার গঠন করতে পারি। এবং একশো পঞ্চাশের বেশি সিট জিততে পারি। তাঁরা মনে করেছেন বিজেপির যা শক্তি আছে, তাতে বোধহয় একশোর কাছাকাছি সিটই যথেষ্ট। তাই তাঁরা দিয়েছেন।”

এর পর দিলীপ বলেন, “কিন্তু আমরাই তৃণমূল সরকারকে রাস্তায় নিয়ে যেতে পারি। মানুষ যেদিন যোগ্য মনে করবে, আমাদের সরকার আসবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবে। আর ক্ষমতার লোভে যাঁরা এখান থেকে ওখানে গেছেন, আজ হোক, কাল হোক, তাঁদের রিজাইন করতে হবে।”

দিলীপ ঘোষ বলেন কয়েক বছর আগে যেখানে বিজেপির পতাকা দেখা যেত না, সেখানেও এখন তাঁদের পঞ্চায়েত আছে। বলেন, “মোদীজির নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দল। আমাদের মতো সাধারণ কর্মীদের পরিশ্রমে চলছে। বিজেপি রেকর্ড গড়ছে একের পর এক রাজ্যে। আগে বিহার, উত্তর প্রদেশকে নিয়ে লোক হাসাহাসি করত। জঙ্গল মহল বলত। আজ গুন্ডা, বদমাশ নাই। সেখানে যোগী রাজ হয়েছে। মানুষ বুঝেছে রামরাজ্য কী।”

এর পর বাংলার প্রসঙ্গে আসেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বলেন, “ভবানীপুরে উপনির্বাচন হল। মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হবে। তাই একজন সিটিং এমএলএ-কে রিজাইন করিয়ে জোর করে নির্বাচন করছেন ওখানে। এবং গায়ের জোরে গুন্ডা দিয়ে ভোট করাতে হবে। কারণ, মানুষের ওপর আস্থা নাই।”

তবে দিলীপ এও মেনে নেন ভবানীপুরে তাঁদের সংগঠন মজবুত নয়। বলেন, “ভবানীপুরে ভারতীয় জনতা পার্টি শক্তিশালী নয়। কিন্তু কর্মীরা লড়াই করে সেখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছেন মন্ত্রীদের বাড়ি বাড়ি ছুটতে হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জিকে গিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মিটিং করতে হচ্ছে। সংগঠনকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছেন। আমরাও আমাদের এমপি, এমএলএদের লাগিয়েছি। প্রতিদিন আক্রমণ হয়েছে। তাই শেষ দিন আশিজন নেতাকে আশি জায়গায় একসঙ্গে প্রচারে নামিয়েছি। তার ধাক্কায় তৃণমূল টালমাটাল হয়ে গেছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “লোক দেখেছে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের কী সম্মান! কী সুরক্ষা আছে! তাই আমাদের কাজ কঠিন হয়ে গেছে। ৪০ বছর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্রকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনীতির অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। গলা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। মানুষ বাঙালি সমাজকে চোর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তন করতে হবে। এর জন্য বিজেপিকে দরকার।” এর পরেই কেন তাঁদের একুশের ভোটে হার হল, তার ব্যাখ্যায় যান দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: Duare Ration: ‘পুজোর সময় কাঁধে করে মাল বইবে কে?’ দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ‘না’ রেশন ডিলার সংগঠনের