শর্মিলার জন্য ভেঙেছিল সিমি আর পতৌদির প্রেম! গভীর রাতে কী ঘটেছিল?

মনসুর আলি খান পতৌদি, একসময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং নবাব পরিবারের সন্তান। শোনা যায় তিনি নাকি খুবই রোম্যান্টিক মানুষ ছিলেন। তার জীবনে প্রেম এবং সম্পর্কের একাধিক অধ্যায় ছিল। অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছাড়াও তাঁর জীবনে ছিল একাধিক নারীসঙ্গ।

শর্মিলার জন্য ভেঙেছিল সিমি আর পতৌদির প্রেম! গভীর রাতে কী ঘটেছিল?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2025 | 3:55 PM

মনসুর আলি খান পতৌদি, একসময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং নবাব পরিবারের সন্তান। শোনা যায় তিনি নাকি খুবই রোম্যান্টিক মানুষ ছিলেন। তার জীবনে প্রেম এবং সম্পর্কের একাধিক অধ্যায় ছিল। অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছাড়াও তাঁর জীবনে ছিল একাধিক নারীসঙ্গ। বলিউডের অনেক নায়িকার সঙ্গেই নাকি বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন টাইগার। সেই তালিকায় অন্যতম ছিলেন সিমি গারেওয়াল। দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিনত্রীর ।

সময়টা ছিল ১৯৬০ বা ১৯৭০-এর দশকের শুরু। গভীর রাতের একটি ঘটনা। সেই রাতেই সিমি এবং মনসুরের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। এক রাতে সিমি তখন তাঁর ফ্ল্যাটে একা। আচমকাই দরজায় টোকা পড়ল। দরজা খুলতেই সিমি দেখলেন মনসুর দাঁড়িয়ে আছেন। সিমির দিকে তাকিয়ে বললেন মনসুর বলেছিলেন, “ক্ষমা করে দিও, আমি শুধু একটি কথা বলার জন্য এসেছি—আমি অন্য কাউকে ভালোবাসছি।” সিমি, একে একে বিষয়টি শুনে, কোনও ধরনের উত্তেজনা বা বিরোধ প্রকাশ না করে শুধুমাত্র শান্তভাবে মনসুরের কথা শুনেছিলেন।

অস্থির না হয়ে মন দিয়ে সে রাতে মনসুরের সব কথা শুনেছিলেন সিমি। বুঝতে পেরেছিলেন সম্পর্কটি আসলে শেষই হয়ে গেছে। সিমি এরপর মনসুরকে তার সঙ্গে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে যান। মনসুর বারবার তাঁকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন।লিফটের দিকে যাওয়ার সময়, একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। সিমি যখন লিফটের দরজায় পৌঁছান, তখন হঠাৎই থমকে যান—কারণ শর্মিলা ঠাকুর সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনজনের মধ্যে একটি অদ্ভুত নীরবতা ছিল, যেন সম্পর্কের এক অধ্যায় শেষ হয়ে নতুন একটি অধ্যায় শুরু হতে চলেছে।

এই ঘটনার পর, মনসুর আর কখনও সিমির দিকে ফিরে তাকাননি। তিনি শর্মিলাকে বিয়ে করে তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। অন্যদিকে, সিমি গারেওয়ালও ১৯৭০ সালে রবি মোহনকে বিয়ে করেন, কিন্তু তাঁদের সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তারা আলাদা হয়ে যান। নসুর এবং শর্মিলার মধ্যে সম্পর্ক ছিল একেবারে সুখী এবং দীর্ঘস্থায়ী, যা ১৯৭১ সালে বিবাহের মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে।