‘সিনেবাপ’ এবার ধরা দিল অনির্বাণের ‘খাঁচা’য়, বড় চমক নিয়ে এবার মীর-রজতাভ-কাঞ্চনা
Tollywood: গল্পে, গত তিরিশ বছর ধরে লেবার ট্রান্সপোর্টের ব্যবসার নামে এক বিরাট নারী পাচার চক্র চালায় বিশ্বম্ভর বিশ্বাস ওরফে মামা এবং তার প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী দেবী ওরফে মামী। কত ছোট ছোট নিষ্পাপ মেয়ের জীবন যে ওরা নষ্ট করে চলেছে তার ইয়ত্তা নেই। কমলেশ ওই গ্রামেরই ছেলে। তারই হাত ধরে পাল্টায় গল্পের প্লট।
বাংলা ছবির জগতে জোয়ার এনেছে ২০২৪। একের পর এক ছবি দর্শক মনে ঝড় তুলেছে। আর বছর ঘুরতেই সেই তালিকায় একের পর এক নতুন সংযোজন। যেখানে নাম লেখালেন মৃন্ময়। মৃন্ময় নামটা অনেকের কাছেই অচেনা, কিন্তু নেটপাড়ার সিনেবাপ নেটিজেনদের কাছে জনপ্রিয়। আর তিনিই এবার অনির্বাণ চক্রবর্তীর খাঁচায়। নারী পাচারকে কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠা চিত্রনাট্যের পরতে-পরতে রহস্য। গল্পে, গত তিরিশ বছর ধরে লেবার ট্রান্সপোর্টের ব্যবসার নামে এক বিরাট নারী পাচার চক্র চালায় বিশ্বম্ভর বিশ্বাস ওরফে মামা এবং তার প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী দেবী ওরফে মামী। কত ছোট ছোট নিষ্পাপ মেয়ের জীবন যে ওরা নষ্ট করে চলেছে তার ইয়ত্তা নেই। কমলেশ ওই গ্রামেরই ছেলে। তারই হাত ধরে পাল্টায় গল্পের প্লট। এক অন্য ধাঁচে খাঁচাকে বুনেছেন পরিচালক। তাঁর কথায়, “যখন রজতাভ দত্ত, মীর আফসার আলি, কাঞ্চনা, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালি, মৃণ্ময়, প্রত্যুষা, পূজা চট্টোপাধ্যায়, কৃষ্ণার মতো শিল্পীরা সেটে থাকেন, তখন প্রতিটি মুহূর্তই স্মরণীয় হয়ে ওঠে। তবে একটি বিশেষ রাত আমার স্পষ্ট মনে পড়ে। আমরা কালিম্পংয়ের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় শুটিং করছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় ম্যানেজার আমার কাছে এসে একটি ভিডিও দেখালেন, যেখানে কয়েক ঘণ্টা আগে ঠিক সেই জায়গায় একটি চিতা দেখা গিয়েছিল, যেখানে আমি বসেছিলাম। এবং কাকতালীয়ভাবে ঠিক সেই সময় কোনো এক প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সমস্ত লাইট বন্ধ হয়ে যায়। সম্পূর্ণ অন্ধকারে পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে একমাত্র দৃশ্যমান ছিল মোবাইল স্ক্রিনে থাকা সেই চিতার চাহনি। এবং তখন আমি বুঝতে পারি যে আমি তার এলাকায় অনাহূত অতিথি, সে নয়।”
এ তো গেল ছবির গল্প, আর খাঁচার মূল আকর্ষণ সিনেবাপ? কীভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে বড়পর্দায় সুযোগ পাওয়া? মৃন্ময়ের কথায়, “হিরো হওয়ার ইচ্ছা আমার বহু বছরের। এক দশকের ওপরে অভিজ্ঞতা… ২০১২ থেকে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেছি, প্রথমে রিয়েলিটি শো, তারপর ইউটিউব। কিন্তু তারও আগে থেকে আমার স্বপ্ন হিরো হওয়ার। তার জন্য – সঠিক প্রিপারেশন, সঠিক মানুষদের সান্নিধ্যে আসা, আর সঠিক সময়টা খুব দরকার। ইউটিউবটা আমার প্যাশন এবং প্রফেশন, কিন্তু হিরো হওয়াটা আমার অ্যাম্বিশন। এটা ২০২৫-এ পূর্ণ হতে যাচ্ছে।”
তবে ছবিতে হিরোর তকমা ভুলে কেন নতুন মুখকেই সুযোগ দিলেন ছবির প্রযোজক প্রবীর ভৌমিক? কারণ তাঁর লক্ষ্যে ছবির বাণিজ্য। এই প্রসঙ্গে তিনি বলনে, “আজকের নতুন মুখরাই আগামী দিনের বড় তারকা। এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটছে। তারা নতুন সুযোগের সন্ধান করছে। আমি তাদের সম্ভাবনা পছন্দ করি এবং শ্রদ্ধা করি। আগামী দিনে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গেও কাজ করতে হবে।”
ছবিতে গল্পের পাশাপাশি গানেও রয়েছে চমক। সৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ক্যাকটাসের সিধু, দুর্নিবার সাহার গানও ছবির এক বিশেষ আকর্ষণ।