Rahul Sinha : ‘২০২৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না মমতা’, হুঁশিয়ারি রাহুল সিনহার

Rahul Sinha taunts Mamata Banerjee: তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে না পারলে, পশ্চিমবঙ্গকে আফগানিস্তানে পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না। মন্তব্য রাহুল সিনহার।

Rahul Sinha : '২০২৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না মমতা', হুঁশিয়ারি রাহুল সিনহার
মমতা ও কমিশনকে একযোগে আক্রমণ রাহুল সিনহার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 6:09 PM

কলকাতা: ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে ফের একবার নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে অকাল বোধন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাহুল সিনহা বলেন, “অকাল বোধনের কী দরকার ছিল?” একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে কড়া আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, “বাংলার মানুষকে অপমান করেছে নির্বাচন কমিশন। এর জবাব দেওয়া উচিত কমিশনের।”

উপনির্বাচনের আগেও এই একইভাবে মমতা ও কমিশনকে এক তিরে বিদ্ধ করেছিলেন রাহুল সিনহা। বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে জেতা – হারা নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত কমিশন। তাই সারা দেশে উপনির্বাচন ছেড়ে, এখানে আগে ভাগে উপনির্বাচন হচ্ছে। পুজোর মরশুমে নির্বাচনের প্রচার সাধারণের জন্য কতটা অসুবিধাজনক, তা ভাবল না কমিশন।”

তারপর আজ ফের একবার সেই একই সুর রাহুল সিনহার গলায়। ভবানীপুরের উপনির্বাচন ইস্যুতে এখনও যে তিনি নিজের অবস্থানে স্পষ্ট, তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা। একইসঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই চেষ্টা করুন না কেন, পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে না পারলে, পশ্চিমবঙ্গকে আফগানিস্তানে পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না।

সম্প্রতি ভবানীপুর নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। ভবানীপুরে ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। আর সেই নিয়েই সম্প্রতি তীব্র ভর্ৎসনা শুনতে হয় তাঁকে।

উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেই দ্রুত উপ-নির্বাচন করা হচ্ছে ভবানীপুরে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই মর্মেই আবেদন জানিয়েছিলেন। মুখ্যসচিব প্রশাসনিক পদে থেকে নির্বাচনের জন্য এ ভাবে চিঠি লিখতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।

একইসঙ্গে হাইকোর্টের প্রশ্ন ছিল, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার যা অবস্থা, তাতে কীভাবে একটিমাত্র আসনে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে?

বিজেপি শিবির থেকেও একাধিকবার এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। টুইটে তিনি দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামের হারের পর ভুয়ো ভোটে নির্ভর করেই জিততে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রীর কি ভু্য়ো ভোটের রায় মানায়?’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘ভুয়ো ভোটের অতিমারি থাবা বসিয়েছে ভবানীপুরে।

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: ‘বাঁধ করেননি, ভাতায় খরচ করেছেন’, মমতার ‘ম্যানমেড’ তত্ত্ব খারিজ শুভেন্দুর

আরও পড়ুন : Duare Ration: ‘পুজোর সময় কাঁধে করে মাল বইবে কে?’ দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ‘না’ রেশন ডিলার সংগঠনের