Big News: পুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের! এবারও মণ্ডপগুলিতে ‘নো এন্ট্রি’ দর্শকের
Calcutta High Court: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে পুজো নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
কলকাতা: এবারও পুজোতে ( Durga Puja) মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’। শুক্রবারই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। করোনার সংক্রমণে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, গত বারের মতো এবারও মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। রাজ্যও আদালতের সেই নির্দেশকে শিরোধার্য করেছে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোর মণ্ডপগুলিতেও এই বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে পুজো নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয় দুর্গোৎসবে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে পুজো মণ্ডপগুলিতে। যা এই মুহূর্তে মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। তাই পুজো কমিটিগুলি ভিড় নিয়ন্ত্রণ করুক এবং করোনা বিধি মেনে পুজো হোক, এই আবেদন নিয়েই মামলাটি হয়। তবে শুধু দুর্গাপুজো নয়, কালীপুজোতেও একইরকম ভিড় নজরে আসে পুজো মণ্ডপগুলিতে। তাই আদালতের নির্দেশ, গত বছরের মতো এবারের পুজোতেও মণ্ডপে কারও প্রবেশ চলবে না।
গত বছর অজয় দে নামে এক ব্যক্তির জনস্বার্থ মামলার নিরিখে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ মিটারের মধ্যে কোনও ভাবেই কোনও দর্শক মণ্ডপে থাকবেন না। এমনকী যাঁরা পুজো পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন, তাঁরাও ইচ্ছামতো মণ্ডপে ঢুকবেন-বেরোবেন, সেটাও হতে পারে না। ২৫ জনের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল সেবার আদালতে। পঞ্চমীর দিন সেই নির্দেশ এসেছিল গত বছর।
এরপরই দেখা যায় গোটা পুজোতেই মণ্ডপগুলিতে তুলনামূলক ভিড় অনেক কম। বিশেষ করে কলকাতার বড় পুজো মণ্ডপগুলিই চিন্তার কারণ থাকে। তাই এবারও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জনৈক ব্য়ক্তি জানান, গতবারের বিধিই বলবৎ থাকুক এ বছরও।
রাজডাঙা নবোদয় সংঘের পুজো উদ্যোক্তা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আমরা সব সময় হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। এটাই তো বাস্তবসম্মত, এমনটাই তো হওয়া উচিৎ। রাজ্য সরকার যে নির্দেশাবলী দিয়েছে, সেগুলিকে মান্যতা দিয়েই আমরা আমাদের পুজো করব। প্রথম থেকেই এবারও আমরা সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে চলেছি। আমাদের মণ্ডপও তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই। দর্শকরা যাতে মণ্ডপে ঢুকতে না পারেন, সে কারণে সম্পূর্ণ খোলা মণ্ডপ করা হয়েছে। দর্শকরা রাস্তা থেকেই প্রতিমা দর্শন করে চলে যাবেন।”
শুধু রাজডাঙা নবোদয় সংঘই নয়, এরকম একাধিক পুজো কমিটি সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মাথায় রেখেই তাদের মণ্ডপ তৈরি করছে। এই মামলার গত শুনানিতেই আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল, এ বিষয়ে তারা কী ভাবছে। শুক্রবার রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল আদালতে জানান, মণ্ডপে নো এন্ট্রি রাখার নির্দেশ দিলে রাজ্য তাতে আপত্তি করবে না।