TMC: ‘বৃদ্ধ বামনেতা প্রথম মারধর করেন’, শোকজের জবাবে ‘যুক্তি’ সাজালেন বেবি কোলে, শুনেই হাসলেন অনিল দাস
TMC: গত ৩০ জুন খড়্গপুরে প্রবীণ বামনেতা অনিল দাসকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, বেবি কোলে ও আরও জনা তিনেক মহিলা প্রবীণ ওই বামনেতাকে রাস্তায় মারধর করছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়। ওইদিন তৃণমূলের তরফে খড়্গপুর থানায় বেবি কোলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

খড়্গপুর: রাস্তায় ফেলে প্রবীণ বাম নেতাকে পিটিয়েছিলেন। ঘটনার নিন্দা করে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছিল দল। তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। অবশেষে ৬ দিনের মাথায় দলকে জবাব পাঠালেন খড়্গপুরের তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। সেখানে তিনি লিখেছেন, আত্মরক্ষার তাগিদেই তিনি সেদিন হাত চালিয়েছেন।
গত ৩০ জুন খড়্গপুরে প্রবীণ বামনেতা অনিল দাসকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, বেবি কোলে ও আরও জনা তিনেক মহিলা প্রবীণ ওই বামনেতাকে রাস্তায় মারধর করছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়। ওইদিন তৃণমূলের তরফে খড়্গপুর থানায় বেবি কোলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে শোকজ নোটিস পাঠান। ঘটনার জেরে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে জানিয়ে ৩ দিনের মধ্যে বেবি কোলেকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।
সেই শোকজের জবাব ৬ দিনের মাথায় দিলেন খড়্গপুরের এই তৃণমূল নেত্রী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ওই প্রবীণ বামনেতা-ই তাঁকে প্রথমে মারধর করেন। আত্মরক্ষার্থে হাত চালান তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ওই বৃদ্ধ বারবার হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁর রোজকারের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শোকজের জবাবে পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন বেবি কোলে।
বেবি কোলের শোকজের জবাব নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ওই তৃণমূল নেত্রীর হাতে প্রহৃত অনিল দাস শোকজের জবাবের কথা শুনে বলেন, “গরিব মানুষের ঘর দখল করেন ওই মহিলা। সেই গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আমি থানায় যাই। তাঁর আয়ের জায়গা তো এগুলোই।” বেবি কোলের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের কথা শুনে হেসে ফেললেন বৃদ্ধ বামনেতা। বললেন, “আমি তো তাঁর স্বামীকে চিনিই না। দেখিনি। তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে কীভাবে হস্তক্ষেপ করব?” বেবি কোলেকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার না করায় উষ্মা প্রকাশ করলেন তিনি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ইতিমধ্য়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। নিরপেক্ষ বিচার চেয়ে তাঁর স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন।





